'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' প্রকল্পে তপশিলি জাতি-উপজাতি মহিলাদের মাসে ১০০০ টাকা ও সাধারণ তালিকাভুক্ত মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে। এই ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।
১৬ অগাস্ট থেকে 'দুয়ারে সরকার' প্রকল্প চালু হয়েছে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা চলার কথা। আর 'দুয়ারে সরকার' থেকেই 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার'-এর ফর্ম দেওয়া হচ্ছে।
এই ফর্ম দেওয়া শুরু হওয়ার পর থেকে অনেকের প্রশ্ন, 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার'-এর সুবিধা কি পরিবারের সব মহিলারা পাবেন? বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে সেই ধোঁয়াশা পরিষ্কার করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানালেন, যাঁদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রয়েছে, তাঁরা পাবেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা। কিন্তু যাঁদের নেই, তাঁরাও শর্তসাপেক্ষে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সবক্ষেত্রেই বয়স হতে হবে ২৫-৬০ বছরের মধ্যে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, 'বাড়ির সবথেকে বয়স্ক মহিলার নামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আছে। ধরা যাক সেই বাড়িতে ৩ জন মহিলা আছেন। তাঁদের বয়স ২৫ থেকে ৬০-এর মধ্যে। তাঁদের নামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই। তাঁদের অভিভাবকের নামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে ওই বাড়ির বউ-মেয়েরা পাবেন।'
অর্থাৎ বাড়ির অভিভাবকের নামে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকার জন্যই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পাবেন বাড়ির বউ-মেয়েরা।
প্রসঙ্গত, দুয়ারে সরকার প্রকল্প শুরু হওয়ার পর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির ছবি সামনে এসেছে। জেলায় জেলায় ভিড় উপচে পড়েছে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে।