IPO-Initial Public Offering এর সংক্ষিপ্ত রূপকে IPO বলা হয়। IPO-কে প্রাইমারি মার্কেটও বলা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, ২০২১ সালেও IPO-র বাজার শক্তিশালী থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। IPO-র বাজারের অস্থিরতা থাকলেও উত্থান এখনও শেষ হয়নি। এই বছর নিজেদের IPO চালু করতে একাধিক সংস্থা এখনও অপেক্ষায় রয়েছে।
২০২১-এ পরপর IPO খোলার ফলে বিনিয়োগকারীরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন যে, কোনটিতে বিনিয়োগ করা উচিৎ আর কোনটায় টাকা না ঢাললেও চলবে! কোন IPO-তে বিনিয়োগ সবচেয়ে লাভজনক হতে পারে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে মানুষের মনে!
বুধবার থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত বিপুল টাকা আয়ের সুযোগ দিচ্ছে Zomato। আজ থেকে বিনিয়োগকারীদের জন্য খুলেছে এই সংস্থার IPO। IPO-র মাধ্যমে বাজার থেকে ৯,৩৭৫ কোটি টাকা জোগার করার পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থার৷ আজই Zomato-র IPO-তে বিনিয়োগ করার শেষ দিন।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, IPO চালু করার আগে মঙ্গলবার থেকেই অ্যাঙ্কর বিনিয়োগকারীদের (অ্যাঙ্কর ইনভেস্টর) কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করা শুরু হয়। ১৮৬ জন অ্যাঙ্কর বিনিয়োগকারী (অ্যাঙ্কর ইনভেস্টর) ৭৬ টাকা করে মোট ৫৫,২১,৭৩,৫০৫টি শেয়ার কেনেন। এর মাধ্যমে ৪,১৯৬ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করেছে Zomato।
Zomato-র প্রতিটি ইক্যুইটি শেয়ারের মূল্য ৭২-৭৬ টাকা। বিনিয়োগকারীকে ন্যূনতম ১৯৫টি ইক্যুইটি শেয়ার কিনতে হবে। অর্থাৎ, Zomato-র IPO-তে ন্যূনতম বিনিয়োগের পরিমাণ ১৪,৮২০ টাকা। ২০২০ সালের মার্চের পরে এটিই এখনও পর্যন্ত ভারতের বৃহত্তম IPO।
SEBI-র কাছে জমা সংস্থার DRHP অনুযায়ী, IPO-র মাধ্যমে Zomato বাজার থেকে যে ৯,৩৭৫ কোটি টাকা জোগার করার পরিকল্পনা করছে তার মধ্যে ৯,০০০ কোটি টাকার ইক্যুইটি শেয়ার এবং ৩৭৫ কোটি টাকার শেয়ার 'অফার অফ সেল' (OFS)-এর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
Zomato-র শেয়ারের সিংহভাগ (৭৫ শতাংশ) যোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক ক্রেতাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। খুচরা বিনিয়োগকারীদের জন্য সংস্থার শেয়ারের ১০ শতাংশ রাখা হয়েছে। বাকি ১৫ শতাংশ শেয়ার অপ্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে।
শুক্রবার শেয়ার বাজার খোলার পর থেকে লাভের মুখ দেখে Zomato-র শেয়ারও। প্রায় সাড়ে ৮ গুণ (৮.৩০ গুণ) বেশি সাবস্ক্রাইব করা হয়েছে এর শেয়ার। Zomato বিত্রির জন্য ৭১.৯২ কোটি শেয়ারের অফার করলেও এখনও পর্যন্ত ৫৯৭.০১ কোটি শেয়ারের জন্য সাবস্ক্রিপশন পেয়েছে।