টু-হুইলার লোনবাইক বা স্কুটার কেনার স্বপ্ন অনেকেই দেখেন। আর সেই স্বপ্নপূরণ করতে তাঁরা কিছুটা টাকা ডাউনপেমেন্ট করেন। বাদবাকি টাকা লোন নেন। তবে মুশকিল হল টু-হুইলার লোন, নেওয়ার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। নইলে আদতে ঠকতে হবে। পকেট থেকে খসবে বাড়তি টাকা।
তাই যাঁরা এই সময় বাইক বা স্কুটার লোনের মাধ্যমে কিনতে চাইছেন, তাঁরা সাবধান হন। লোন নেওয়ার আগে এই ৫টি বিষয় যাচাই করা মাস্ট। তাতেই পকেটে বাঁচবে বেশি টাকা।
ইন্টারেস্ট রেট দেখুন
বাইক বা স্কুটার কেনার সময় যেই দোকানে যাচ্ছেন, সেই শোরুমের সঙ্গে নির্দিষ্ট কিছু ব্যাঙ্ক বা ফিনিন্সিয়াল ইনস্টিটিউশনের যোগ থাকে। তাই শোরুম সেই সব জায়গা থেকেই লোন করাতে চায়। তবে এই ফাঁদে পা দেওয়া ঠিক হবে না। তার আগে বরং নিজে একটু রিসার্চ করে নিন। দেখার চেষ্টা করুন, ঠিক কোথায় ইন্টারেস্ট রেট কম। সেখান দিয়েই লোন নিন। অন্যের কথার ফাঁদে পড়বেন না।
প্রসেসিং রেট জানা জরুরি
লোন পাশ করানোর জন্য ব্যাঙ্ক প্রসেসিং রেট, সার্ভিস চার্জ নেয়। আর এটা আগেভাগে কোনও পক্ষই জানাতে চায় না। যার ফলে লোন নেওয়ার সময় বাড়তি খরচের কথা শুনে আকাশ থেকে পড়তে হতে পারে। তাই টু হুইলার লোন নেওয়ার আগেই প্রসেসিং চার্জ বা অন্যান্য খরচ জেনে নিন। তাহলেই আপনি লাভের দিকে থাকবেন।
ক্রেডিট স্কোরের খবর রাখুন
মনে রাখবেন, আপনার ক্রেডিট স্কোর যত ভাল হবে, লোন পাওয়া ততটাই সহজ হবে। শুধু তাই নয়, কমবে ইন্টারেস্ট রেট। তাই বাইক বা স্কুটারের জন্য লোন নেওয়ার আগে অবশ্যই এই বিষয়টা যাচাই করে নিন। এক্ষেত্রে ৭৫০-এর উপরে ক্রেডিট স্কোর থাকা ভাল।
ইএমআই জেনে নিন
অনেক ব্যাঙ্ক লোন দেওয়ার সময় এক ইএমআই বলে। আর যখন শোধ করার পালা আসে, তখন দেখা যায় তফাত রয়েছে ইএমআই অ্যামাউন্টে। তাই লোন নেওয়ার আগে বারবার করে জিজ্ঞেস করে নিন কত টাকা ইএমআই পড়বে আপনার। পাশাপাশি লোন টেনিয়র বা কতদিন ধরে সেটা চলবে, এটাও মাথায় রাখা জরুরি।
ডাউন পেমেন্টটা মাথায় রয়েছে তো?
সব টাকা লোন পাবেন না। দামের একটা অংশ ডাউন পেমেন্ট করতে হবে। তাই চেষ্টা করুন আগে ভাগে কত টাকা ডাউন করতে হবে, সেটা জেনে নেওয়ার। নইলে শেষ মুহূর্তে ভুগতে হবে।