
5 Lakh FD Monthly Income: ভারতে নিরাপদ বিনিয়োগ বলতে আজও সাধারণ মানুষের প্রথম পছন্দ ফিক্সড ডিপোজিট বা এফডি। ঝুঁকি কম, রিটার্ন নিশ্চিত। এই দুই কারণে ছোট-বড় বহু বিনিয়োগকারী এফডির দিকে ঝোঁকেন। অনেকের ধারণা, বড় অঙ্ক না হলে এফডিতে লাভ নেই। কিন্তু বাস্তবে মাত্র ৫ লক্ষ টাকার এফডি থেকেও নিয়মিত মাসিক আয় সম্ভব।
ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে ৫ লক্ষ টাকা জমা রেখে যদি কেউ স্থায়ী মাসিক আয়ের পরিকল্পনা করেন, তাহলে নন-কিউমুলেটিভ (Non-cumulative) এফডি বেছে নিতে হয়। এই ধরনের এফডিতে মাসিক, ত্রৈমাসিক বা বার্ষিক ভিত্তিতে সুদ দেওয়া হয়। অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা যাঁরা দৈনন্দিন খরচ চালাতে সুদের উপর নির্ভর করেন, তাঁদের কাছে এই বিকল্প বেশ সুবিধাজনক।
ধরা যাক, কেউ ৫ বছরের জন্য ৭ শতাংশ বার্ষিক সুদে ৫ লক্ষ টাকার নন-কিউমুলেটিভ এফডি করালেন। সে ক্ষেত্রে বছরে সুদ হবে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ, মাসে গড়ে প্রায় ২,৯০০ টাকার কাছাকাছি আয় হতে পারে। সুদের হার ব্যাঙ্কভেদে আলাদা হতে পারে, তাই চূড়ান্ত অঙ্ক সামান্য কমবেশি হতে পারে।
তবে এফডিতে টাকা রাখার সময় সুদের পাশাপাশি রেপো রেটের দিকেও নজর রাখা জরুরি। রেপো রেট বাড়লে সাধারণত ব্যাঙ্কের এফডির সুদের হারও বাড়ে। ফলে সঠিক সময়ে এফডি করলে তুলনামূলক ভালো রিটার্ন পাওয়া সম্ভব।
এফডির সুদের উপর করের বিষয়টিও জানা দরকার। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে বছরে সুদ যদি ৪০ হাজার টাকার বেশি হয়, তাহলে ১০ শতাংশ টিডিএস কাটা হয়। সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য এই সীমা ৫০ হাজার টাকা। তবে প্যান কার্ড না থাকলে টিডিএস কাটা হয় ২০ শতাংশ হারে।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এফডি বাছার আগে নিজের মাসিক আয়ের প্রয়োজন, করের সীমা এবং ভবিষ্যতের আর্থিক পরিকল্পনা ভালভাবে বিচার করা উচিত। সঠিক পরিকল্পনায় করা ৫ লক্ষ টাকার এফডি দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল আয়ের একটি ভরসাযোগ্য মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে।