scorecardresearch
 

Dooars Tourist Helpline Number: ডুয়ার্সে ঘুরতে গিয়ে বিপদ? এই নম্বর লিখে নিন, চলে আসবে পুলিশ

Dooars Tourist Helpline Number: ডুয়ার্সে ঘুরতে এসে কোনও বিপদে পড়লে সরাসরি কমন একটি নম্বরে ফোন করে নিজের বিপদের কথা জানাতে পারবেন। ওই নম্বর থেকেই বন দফতর কিংবা পুলিশের সাহায্য মিলবে। আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বন্দোবস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি কোথায় থাকতে চান, কোথাও যেতে গাড়ি কোথা থেকে পাবেন, সমস্ত তথ্যের জন্যও এই নম্বরেই ফোন করা যাবে। 

Advertisement
ডুয়ার্সে মুশকিল আসান পর্যটকদের, একই হেল্পলাইনে সাড়া দেবে পুলিশ থেকে বন ডুয়ার্সে মুশকিল আসান পর্যটকদের, একই হেল্পলাইনে সাড়া দেবে পুলিশ থেকে বন

Dooars Tourist Helpline Number: আশ্বিন মাস পড়ে গিয়েছে। এদিকে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে জঙ্গলও খুলে গিয়েছে। ফলে ধীরে ধীরে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে উত্তরবঙ্গে। পাহাড়ের পরই সবচেয়ে বেশি চাহিদা ডুয়ার্সে। ইদানীং রাজ্য রাজনীতিতে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। তাই পর্যটনেও সুরক্ষা বাড়াতে উদ্যোগী হল প্রশাসন। 

ডুয়ার্সে ঘুরতে এসে কোনও বিপদে পড়লে সরাসরি কমন একটি নম্বরে ফোন করে নিজের বিপদের কথা জানাতে পারবেন। ওই নম্বর থেকেই বন দফতর কিংবা পুলিশের সাহায্য মিলবে। আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বন্দোবস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি কোথায় থাকতে চান, কোথাও যেতে গাড়ি কোথা থেকে পাবেন, সমস্ত তথ্যের জন্যও এই নম্বরেই ফোন করা যাবে। 

হেল্পলাইন নম্বর
এই সমস্ত একাধিক জিনিস মাথায় রেখে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন পর্যটকদের সাহায্যের জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করল। জেলা পর্যটন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হেল্পলাইন নম্বরটি (Helpline Number) হল : ৬২৯৭১৩৮৬৪৮

আরও পড়ুন

এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে পর্যটন সার্কিট। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত পর্যটকদের কাছে ইতিবাচক বার্তা দেবে। পর্যটকরাও ঘুরতে আসতে ও ডুয়ার্সে এলে বাড়তি নিরাপত্তা পাবে। দারুণ সিদ্ধান্ত।

আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক আর বিমলা সংবাদমাধ্যমকে জানান, পর্যটনের মরশুমে বেড়াতে এসে পর্যটকরা যেন কোথাও কোনও সমস্যায় না পড়েন, সেই ব্যাপারটি পর্যটন ব্যবসায়ীরা যেমন দেখেন তেমনই দেখবেন। তবে পর্যটকরা সরকারি সাহায্য় চাইলে এই নম্বরে যোগাযোগ করে সব রকম সহায়তা পাবেন। বাড়তি নিরাপত্তার শিল্ড তৈরি করা যাবে বলে আশাবাদী তিনি। পাশাপাশি জেলার প্রত্যেকটি থানা ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদেরও পর্যটকদের অভিযোগকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিকে দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জঙ্গল খুলতেই আলিপুরদুয়ার জেলার জলদাপাড়া, চিলাপাতা, বক্সা জয়ন্তী, রাজভাতখাওয়া সহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। পুজোর সময় এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। ওই সময় অনেকে চা বাগান দেখতেও আসেন। ডুয়ার্সকন্যায় পর্যটন দফতরের একটি হেল্প ডেস্ক চালু রয়েছে। সেখানেও সরকারি অফিস খোলা থাকার টাইমে যে কোনও পর্যটক সরাসরি দপ্তরের কর্মীদের সহযোগিতা পেতে পারেন। কিন্তু ছুটির দিনগুলিতেও এখানে সুবিধা পাওয়া যায় না। তাই বাড়তি নম্বর চালু করে সব দফতরের সঙ্গে যোগাযোগের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

Advertisement

গাইড সংগঠন তরফেও এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে। জঙ্গলে গিয়ে আচমকা ঝড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলে, রাস্তা ক্লিয়ার করতে বন দফতরের সাহায্য দরকার হতে পারে। সেসব ক্ষেত্রে হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে একজন পর্যটক প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাহায্য পেতে পারেন বলে তাঁদের দাবি।

 

Advertisement