প্রায় ৭০০টি প্রোডাক্টের দাম কমাল আমূল। জিএসটি ছাড়ের পর এবার আগের চেয়ে অনেক কম চাপ পড়বে ক্রেতাদের পকেটে। আমূলের মালিক সংস্থা, গুজরাট কো অপারেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডারেশন (GCMMF) শনিবার এই বিষয়ে সরাসরি জানিয়েছে। বলা হয়েছে, জিএসটি কমার পুরো সুবিধাটাই সরাসরি সাধারণ ক্রেতার হাতে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আর সেই কারণেই এক ধাক্কায় কমানো হল ৭০০ রও বেশি প্যাকেজড প্রোডাক্টের দাম। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে এই নতুন দাম লাগু হবে।
সংস্থা জানিয়েছে, মাখন, ঘি, ইউএইচটি মিল্ক, আইসক্রিম, পনির, চকোলেট, বেকারি রেঞ্জ, ফ্রোজ়েন ডেয়ারি ও স্ন্যাকস, কনডেন্সড মিল্ক, মুঠফুলি স্প্রেড, মল্ট বেসড ড্রিংক্স, প্রায় সব কিছুরই দাম কমানো হচ্ছে।
যেমন ধরুন, আমূল বাটার (১০০ গ্রাম) আগে ৬২ টাকা ছিল। নতুন দাম ৫৮ টাকা। এক লিটার আমূল ঘি আগে ৬৫০ টাকা ছিল। এবার মিলবে ৬১০ টাকায়।
পনির ও চিজ ব্লকেরও দাম কমেছে। এক কেজি প্রোসেসড চিজ ব্লকের দাম ৫৭৫ টাকা থেকে কমে দাঁড়াচ্ছে ৫৪৫ টাকা। ২০০ গ্রাম ফ্রোজ়েন পনির ৯৯ টাকার বদলে ৯৫ টাকায় পাবেন। সংস্থার বক্তব্য, এতদিন ভারতে মাথাপিছু আইসক্রিম, বাটার বা চিজ খাওয়ার পরিমাণ অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই কম ছিল। দাম কমলে ক্রেতাদের খরচের প্রবণতা বাড়বে। ফলে বিক্রি বাড়বে।
জিসিএমএমএফ জানিয়েছে, তাদের আন্ডারে ৩৬ লক্ষ কৃষক যুক্ত রয়েছেন। দাম কমার ফলে শুধু ক্রেতারাই নন, কৃষকরাও লাভবান হবেন। বিক্রি যত বাড়বে, সংস্থার ব্যবসাও তত বাড়বে।
তবে আমূলের সাধারণ দুধের দামে কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। কারণ টোন্ড মিল্ক, ফুল ক্রিম মিল্ক, গরুর দুধ বা মোষের দুধের উপর আগে থেকেই ০% বা ৫% জিএসটি ছিল। ফলে সেখানে আর কাটছাঁটের সুযোগ নেই।