মা ইলিশ রক্ষায় গত ১২ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও বিনিময়ে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাসিনা সরকার। সেইকারণে পুজোর সময় বাংলাদেশ থেকে নতুন করে আর ইলিশ আসেনি পশ্চিমবঙ্গে। কলকাতা ও জেলাগুলিতে দুর্গাপুজো ও লক্ষ্মীপুজোয় মজুত রাখা পদ্মার ইলিশ বিক্রি হয়েছে। এদিকে সামনেই কালীপুজো, ভাইফোঁটার মতো উৎসব। এই সময়ও কি বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আসবে না? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্যবাসীর মনে।
বাংলাদেশ থেকে কত ইলিশ এসেছে?
বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি সেপ্টেম্বরে ঘোষণা করেছিলেন যে পুজোয় ভারতে বাংলাদেশের ইলিশের অভাব হবে না। সেই মতো ৩৯৫০ টন ইলিশ ভারতে পাঠানোর কথা জানিয়েছিল বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রক। সেইমতো ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ মাছ পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু মাত্র ৫৬০ টন ইলিশ আসার পরেই বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রফতানি বন্ধ করা হয়। কারণ ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ মাছ ধরা, বিক্রি এবং রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে সেই দেশে। ফলে কালীপুজো এবং ভাইফোঁটার সময়েও বাংলাদেশের ইলিশ মাছ কলকাতায় আসার সম্ভাবনা নেই।
ভাইফোঁটায় ভাইয়ের পাতে ইলিশ উঠবে?
দুর্গাপুজোর আগেই ইলিশ রফতানি বন্ধ হয়ে যায় বাংলাদেশ থেকে। এই বছরে মোট অনুমোদনের মাত্র ১৪ শতাংশ ইলিশ রফতানি করেছে বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের বাকি সময়ে রাজ্যে বাংলাদেশের ইলিশ মাছ মিলবে না বলেই মনে করছেন মাছ ব্যবসায়ীরা। সুতরাং দুর্গাপুজোর পরে ভাইফোঁটাতেও পাতে মিলবে না বাংলাদেশের ইলিশ।
কলকাতার বাজারে কততে মিলছে বাংলাদেশের ইলিশ?
দুর্গাপুজোর একমাস বাঙালির রসনাতৃপ্তির জন্য এবার বাংলাদেশের কাছে ৫ হাজার টন ইলিশ পাঠানোর আর্জি জানান হয়েছিল এপারের মৎস্য ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে। তবে সেই চাহিদা পূরণ হয়নি। মাছ আমদানিকারক সমিতির সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ জানান, বাংলাদেশ সরকারকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে এখনও পর্যন্ত সাড়া দেয়নি বাংলাদেশ। উৎসবের মরশুমে টাটকা ইলিশ না হলেও চড়া দামে বিক্রি হয়েছে হিমঘরের ইলিশ। এক কেজি ওজনের ইলিশ লক্ষ্মী পুজোর বাজারে বিক্রি হয়েছে ২০০০ টাকা কেজি দরে। ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১০০০-১২০০ টাকা। নতুন করে আমদানি না হওয়ায় ভাইফোঁটার সময়ও হিমঘরের ইলিশের দাম এমনই থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।