scorecardresearch
 

40 years Retirement With Billion: মোটা ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স নিয়ে ৪০ বছরেই রিটায়ারমেন্ট চাইছেন? বাম্পার প্ল্যান রইল

40 years Retirement With Billion: কিছু যুবক পড়াশোনার পরে চাকরির জীবন শুরু করতেই পয়সা জমা করতে শুরু করে দেন এবং নিজেদের রিটারমেন্ট প্ল্যান নির্ধারণ করে নেন। কত বছর পর্যন্ত চাকরি করতে চান? যদিও কিছু লোক ৩৫-৪০ বছর হয়ে গেলেও ফিউচার প্ল্যান নিয়ে কিছু ভাবনাচিন্তা করেন না। সেখানে কিছু যুবক আজকে তারিখে রিটায়ারমেন্টের জন্য ৪০ বছর এর বয়স বেছে নেন। এবং এটি সম্ভবও হচ্ছে যে রিটায়ার করার পর ১ কোটি টাকা নিয়ে অবসরে যেতে পারবেন। আসুন দেখে নিই, কীভাবে এটা সম্ভব?

Advertisement
৪০ বছর বয়সেই কোটি টাকা নিয়ে অবসরের দুর্দান্ত প্ল্যান, আপনার জানা আছে কি? ৪০ বছর বয়সেই কোটি টাকা নিয়ে অবসরের দুর্দান্ত প্ল্যান, আপনার জানা আছে কি?
হাইলাইটস
  • ৪০ বছর বয়সেই কোটি টাকা নিয়ে
  • অবসরের দুর্দান্ত প্ল্যান
  • আপনার জানা আছে কি?

40 years Retirement With Billion: বড়লোক হতে সবাই চায়। যাতে সমস্ত প্রয়োজন সে পূরণ করতে পারে। কিন্তু প্রয়োজনের ঠেলায় পড়ে অনেকে সামান্য লগ্নির সঙ্গে নিজেদের বিত্তীয় লক্ষ্য পূরণ করতে পারে না এবং বড়লোক হতে পারে না। কারণ ফিউচার গোল নিয়ে বেশিরভাগ লোকেদের কোনও ধারণা থাকে না। থাকলেও অনেকে তা নিয়ে সিরিয়াস নন। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। কিছু লোক চাকরি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিজেদের ফিউচার প্ল্যান করে নেন। শুধু তাই নয়, এখন লোকেরা চাকরিতে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই রিটায়ারমেন্ট প্ল্যান ফিক্স করে নেন।

কিছু যুবক পড়াশোনার পরে চাকরির জীবন শুরু করতেই পয়সা জমা করতে শুরু করে দেন এবং নিজেদের রিটারমেন্ট প্ল্যান নির্ধারণ করে নেন। কত বছর পর্যন্ত চাকরি করতে চান? যদিও কিছু লোক ৩৫-৪০ বছর হয়ে গেলেও ফিউচার প্ল্যান নিয়ে কিছু ভাবনাচিন্তা করেন না। সেখানে কিছু যুবক আজকে তারিখে রিটায়ারমেন্টের জন্য ৪০ বছর এর বয়স বেছে নেন। এবং এটি সম্ভবও হচ্ছে।

অন্যদিকে কিছু লোক ২৫ বছর বয়সে চাকরি শুরু করেন। কিন্তু লগ্নি নিয়ে অতটা সিরিয়াস থাকেন না। একটাই তাদের যুক্তি যে এখনতো ফুর্তি করার সময়। পরে জমার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা যাবে। কিন্তু পরে যখন দায়িত্ব বাড়তে শুরু করে তখন খরচে বেড়ে যায় এবং এই সময়ে ফিউচার প্ল্যান, ফিনান্সিয়াল প্ল্যান করা খুব মুশকিল হয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন

২৫ বছর বয়সে লগ্নি চল্লিশে রিটারমেন্ট পদ্ধতি

আপনাদের আজ এমন একটা পদ্ধতি জানাব, যেখানে ২৫ বছর বয়সেই আপনি লগ্নি শুরু করলে ৪০ বছর বয়সে রিটার্নমেন্ট নিতে পারবেন। অর্থাৎ ১৫ বছর চাকরি করতে হবে। ৪০ বছর বয়সে আপনি ১ কোটি টাকা হাতে নিয়ে রিটায়ার করতে পারেন। এ জন্য আপনাকে কিভাবে লগ্নি করতে হবে সেটি দেখে নিন, যাতে ১৫ বছর পরে চাকরি পরে আপনি কোটিপতি হতে পারেন। বেশিরভাগ লোক ৪০ বছর বয়সে চিন্তা ভাবনা করেন., অন্যদিকে কিছু লোক এই সময় রিটায়ারমেন্ট নিয়ে নেন। আসুন আপনাকে জানিয়ে দিই কীভাবে ১৫ বছরে আপনি কোটিপতি হতে পারেন।

Advertisement

১৫*১৫*১৫* ফর্মুলা

আসলে এর জন্য আপনাকে একটা বিশেষ ফর্মুলা পালন করতে হবে, যা পনেরো বছরে কাউকে কোটিপতি করে দিতে পারে। আমরা কথা বলছি ১৫*১৫*১৫* ফর্মুলা নিয়ে। আপনি এই সহজ ফর্মুলায় কেবল ১৫ বছরের এক কোটি টাকা যোগাড় করে ফেলতে পারবেন। আপনি ব্যবসা বা বাড়ি গাড়ি কিনতে পারবেন। সঙ্গে আপনার বাচ্চাদের পড়াশোনার জন্য অন্যান্য খরচ করতে পারবেন। আর এমন নয় যে আপনি ৪০ বছর পর আর কোনও কাজ করবেন না, কিন্তু আপনার মাথা থেকে আর্থিক সমস্ত রকম সমস্যা ও চিন্তা দূর হয়ে যাবে।

আপনি যদি লাগাতার লগ্নি করতে পারেন ১৫*১৫*১৫* ফর্মুলাতে, তাহলে মিউচুয়াল ফান্ডে আপনি এটি জমা করতে পারেন। আজকের জমানায় ফিনান্সিয়াল পরামর্শদাতারা লগ্নিকারীদের মিউচুয়াল ফান্ডে এসআইপি করার পরামর্শ দেন। যে কোনও বয়সে আপনি এটা শুরু করতে পারেন। এই মিউচুয়াল ফান্ড শুরু করতে পারেন এর পিছনে কম্পাউন্ডিং শক্তি রয়েছে। কম্পাউন্ডিয়ের পাওয়ার এর ফর্মুলা যদি আপনি জানেন, তাহলে লম্বা সময় পর্যন্ত এটি চালু রাখতে হবে।

১৫*১৫*১৫* কী?

এতে আপনাকে তিনটি ১৫ রাখতে হবে। প্রথম ১৫ হল  লগ্নির টাকা। প্রতি মাসে আপনাকে ১৫ হাকজার টাকা করে আপনাকে জমা রাখতে হবে অর্থাৎ আপনাকে প্রত্যেক মাসে ১৫০০০ টাকা লগ্নি করতে হবে। এরপরে আরেকটি ১৫ অর্থাৎ ১৫ বছর পর্যন্ত আপনাকে লগ্নি করতে হবে। আর তৃতীয় ১৫ হল বছরে ১৫ শতাংশ সুদ আপনি পাবেন।

এখন আপনাকে আপনি জানিয়ে দেই যে ১৫*১৫*১৫* ফর্মুলাতে আপনি কীভাবে কোটিপতি হতে পারেন? এর জন্য আপনাকে প্রত্যেক মাসে ১৫০০০ টাকা করে ১৫ বছর পর্যন্ত মিউচুয়াল ফান্ডে রাখতে হবে। এই লগ্নিতে আপনি ১৫ শতাংশ যদি বার্ষিক সুদ পান, যার পরে ১৫ বছরে আপনার লগ্নি মোট ১ কোটি ২৭ হাজার ৬০১ টাকা হয়ে যাবে। এই সময় এই লগ্নি ২৭ লাখ টাকা আপনাকে জমা করতে হবে। যার উপর আপনি ৭৩ লাখ টাকা সুদ পাবেন।

কম বয়সে শুরু করলে বেশি ফায়দা

যত দ্রুত শুরু করতে পারবেন তত টাকা আপনার লাভ হবে। এই ফর্মুলাকে শুরু করে ৩০ বছর ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত আপনি কামিয়ে ফেলতে পারেন। ১৫ হাজার করে জমা করতে হবে। কেবল সময় বাড়িয়ে ৩০ বছর করে ফেলতে হবে। আপনি ১৫ বছর পর যে ১ কোটি টাকা পাবেন সেটিকে রেখে দিলে বছরে ১৫ শতাংশ সুদে দেড় লক্ষ টাকা করে আপনার হতে থাকবে। এইভাবে চলতে থাকলে  চক্রবৃদ্ধি হারে আপনি ৩০ বছরে ১০ কোটি টাকা কামাতে পারবেন।

 

Advertisement