মাইলেজ, ফিচার এবং সার্ভিস খরচ; সব মিলিয়ে এই সেগমেন্টে এখন বেশ জমজমাট কম্পিটিশন।ভারতে যাঁরা নতুন বাইক কেনার পরিকল্পনা করেন, তাঁদের একটি বড় অংশের বাজেট ১.৫ লাখ টাকার মধ্যেই থাকে। শহরের দৈনন্দিন যাতায়াত, অফিস যাওয়া-আসা, মাঝেমধ্যে হাইওয়েতে লং রাইড; সব কিছুর জন্যই এই বাজেটে এখন একাধিক ভাল বাইক আছে বাজারে। ইঞ্জিন পারফরম্যান্স, মাইলেজ, ফিচার এবং সার্ভিস খরচ; সব মিলিয়ে এই সেগমেন্টে এখন বেশ জমজমাট কম্পিটিশন।
Honda SP 160
এই দামে সবচেয়ে পপুলার বাইকগুলির মধ্যে অন্যতম হল Honda SP 160। ১৬০ সিসির ইঞ্জিন। শহর এবং হাইওয়ে; দুই জায়গাতেই বাইকটি সাবলীল। ইঞ্জিনের রিফাইনমেন্ট নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। Honda বলে কথা! মাইলেজও সন্তোষজনক, ফলে রোজ চালালেও পকেটে সেভাবে চাপ পড়ে না। স্টাইলিশ ডিজাইন, LED লাইট এবং ভাল ইঞ্জিন। মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের মধ্যে এই বাইকটি বেশ জনপ্রিয়।
TVS Raider 125
মূলত তরুণ প্রজন্মকে টার্গেট করে তৈরি। বাইকটির লুক আধুনিক, রাইডিং পজিশন আরামদায়ক এবং ১২৫ সিসির ইঞ্জিন হলেও টর্ক যথেষ্ট ভাল। শহরের জ্যামে চালাতে সুবিধা হয়, আবার খোলা রাস্তাতেও গতি তুলতে অসুবিধা হয় না। ভাল মাইলেজ এবং কম সার্ভিস খরচের কারণে এটি একটি ভ্যালু ফর মানি বলা যায়।
Hero Xtreme 160R
তুলনামূলক ভাবে একটু স্পোর্টি নেচারের। ১৬০ সিসির এই বাইক। হালকা ওজন। সেই কারণে বেশ ভাল অ্যাক্সিলারেশন। যাঁরা পারফরম্যান্স এবং আগ্রেসিভ লুক পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য বেশ আকর্ষণীয় অপশন। Hero-র সার্ভিস নেটওয়ার্কও ভাল। ফলে ছোট শহর ও গ্রামাঞ্চলেও সার্ভিস করাতে কোনও সমস্যা হবে না।
এ ছাড়াও Bajaj Pulsar 125 এবং Pulsar 150 এখনও এই সেগমেন্টে নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছে। বছরের পর বছর ধরে Pulsar নামটি ভারতের বাইক বাজারে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করেছে। শক্তপোক্ত ইঞ্জিন, স্থিতিশীল রাইডিং এবং রিসেল ভ্যালুর দিক থেকেও এই সিরিজ এগিয়ে।
সব মিলিয়ে ২০২৫ সালে ১.৫ লাখ টাকার মধ্যে বাইক কিনতে চাইলে ক্রেতাদের সামনে বিকল্পের অভাব নেই। শহরে বেশি চললে মাইলেজ ও আরামকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত, আর যদি মাঝে মধ্যে লং রাইডের পরিকল্পনা থাকে, তবে ১৬০ সিসির বাইক বেছে নেওয়াই বুদ্ধিমানের। বাজেট, ব্যবহার এবং রাইডিং স্টাইল বুঝে সিদ্ধান্ত নিলেই এই সেগমেন্ট থেকে সঠিক বাইক বেছে নেওয়া সম্ভব।