নিরাপদ এবং ভালো রিটার্ন চাইলে পোস্ট অফিসের স্কিমগুলি দুর্দান্ত বিকল্প। অনেক পোস্ট অফিস স্কিমে, বিনিয়োগকারীরা ব্যাঙ্কের স্থায়ী আমানতের (FD) চেয়ে বেশি সুদ পাচ্ছেন। পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF), সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা এবং সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম (SCSS) হল এমন একটি জনপ্রিয় স্কিম যা ৮% বা তার বেশি সুদের হার দেয়। পোস্টঅফিসের আরেকটি জনপ্রিয় স্কিম হল কিষাণ বিকাশ পত্র (KVP)। এতে বিনিয়োগকারীরা বার্ষিক ৭.৫০% চক্রবৃদ্ধি সুদ পান।
কিষাণ বিকাশ পত্র কেন বিশেষ?
কিষাণ বিকাশ পত্রকে পোস্টঅফিসের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য স্কিমগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এতে থাকা টাকা সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং এর রিটার্নও নির্দিষ্ট। ১৮ বছরের বেশি বয়সী যেকোনও নাগরিক এই স্কিমে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। ইচ্ছে করলে ৩ জন মিলে একটি জয়েন্ট অ্যাকাউন্টও খুলতে পারবেন। মাত্র ১,০০০ টাকা থেকে শুরু করতে পারেন। এতে সর্বোচ্চ বিনিয়োগের কোনও সীমা নেই।
এই স্কিমের আরেকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল, ১০ বছরের বেশি বয়সী শিশুও এতে বিনিয়োগ করতে পারবে। এর মেয়াদপূর্তির সময়কাল প্রায় ১০ বছর, তবে প্রয়োজনে, ২ বছর ৬ মাস পরেই প্রি-ম্যাচিওর উইথড্রল করতে পারবেন। নমিনি সুবিধাও পাওয়া যায়, যাতে পরিবারও বিনিয়োগের সুবিধা পেতে পারে।
কিষাণ বিকাশ পত্রে ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলে মেয়াদপূর্তিতে প্রায় ২ লক্ষ টাকা হয়ে যাবে। যদি ৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা পেতে পারেন।
এতে কি কর ছাড় থাকবে?
কিষাণ বিকাশ পত্র আয়কর আইন, ১৯৬১-র আওতাধীন, তাই এটি ধারা ৮০সি এর অধীনে কর ছাড় পেতে পারে। যদি ৫০,০০০ টাকার বেশি বিনিয়োগ করেন, তাহলে প্যান কার্ডের বিবরণ দিতে হবে। বিশেষ বিষয় হল এই স্কিমটি বন্ধক রেখেও ঋণ নিতে পারেন।
কিষাণ বিকাশ পত্র কীভাবে কিনবেন?
- প্রথমে নিকটতম পোস্ট অফিস বা সরকারি ব্যাঙ্কের শাখায় যান।
- সেখান থেকে কিষাণ বিকাশ পত্রের আবেদনপত্রটি নিন এবং সঠিক তথ্য পূরণ করুন।
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি, স্বাক্ষর বা বুড়ো আঙুলের ছাপ এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্রের ফটোকপি সংযুক্ত করে ফর্মটি জমা দিন। আরও তথ্যের জন্য, হেল্পলাইন নম্বর 1800 266 6868- এ কল করতে পারেন।
- আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক এবং আইডিবিআই ব্যাঙ্কের মতো কিছু ব্যাঙ্ক অনলাইনে কেভিপি অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধাও দেয়।