পাহাড়-ডুয়ার্স ঘোরাবে সস্তার 'অ্যাপ ক্যাব', রাজ্যের বিরাট উদ্যোগSiliguri To Sikkim App Cab: সিকিমের তরফ থেকে অ্যাপ ক্যাব চালু করে শিলিগুড়ি থেকে সিকিম সস্তায় পর্যটকদের পরিষেবা দিতে বন্দোবস্ত করেছে। সেই লক্ষ্যে কাজও শুরু হয়েছে। খুব দ্রুত তা শুরুও হয়ে যাবে। তা নিয়ে পর্যটকদের মধ্যে উৎসাহ থাকলেও শিলিগুড়ির গাড়ি চালকরা রুটি রুজি হারানোর আশঙ্কা করছিলেন। তাঁরা ক্ষোভও প্রকাশ করেছিলেন। তাঁদেরও সিকিমের মতো বন্দোবস্তের আওতায় আনা হোক বলে। এবার সিকিমের আগেই শিলিগুড়িতেও অ্যাপ ক্যাব চালু করে দিল দার্জিলিং জেলা প্রশাসন। সিকিম যেখানে এখনও প্রস্তুতি সারতে ব্যস্ত, তড়িঘড়ি তার আগেই শিলিগুড়ি-দার্জিলিং রুটে ক্যাব চালু করে দিল পরিবহণ দফতর।
'যাত্রী সাথী'
এই পরিষেবা চালু করল এ রাজ্যের পরিবহণ দফতর। নাম দেওয়া হয়েছে যাত্রী সাথী। বুধবার শিলিগুড়ি জংশন এলাকা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ক্যাব পরিষেবার সূচনা হয়। দার্জিলিংয়ের আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক সোনম লেপচা জানিয়েছেন, আপাতত শিলিগুড়ি থেকে শুরু হলেও, এরপর উত্তরবঙ্গের সর্বত্রই অ্যাপের মাধ্যমে যাত্রী সাথী ক্যাব চালানো হবে। এই ক্ষেত্রে মূলত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (ট্রাফিক) বিশ্বচাঁদ ঠাকুর জানিয়েছেন পর্যটক এবং সাধারণ যাত্রীদের কম খরচে বিনা সমস্য়ায় গন্তব্যে পৌঁছতে এই বন্দোবস্ত।
ভাড়া কত?
বুধবার দুটি গাড়ি শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পৌঁছেছে। তাতে গাড়ি পিছু ভাড়া পড়েছে ১,৯৫৪ টাকা। একটি গাড়িতে ৯ জন যাত্রী গিয়েছেন। ফলে এই টাকাটা ৯ ভাগে ভাগ হয়েছে। মাথাপিছু পড়ল ২০০ টাকার কিছু বেশি।পরিষেবা দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে আশা পরিবহণ দফতরের।
জানা গিয়েছে যত বেশি দূরের জন্য ভাড়া করা হবে, তত তুলনামূলক ভাড়া কম পড়বে। শিলিগুড়ি কোর্ট মোড় চত্বর থেকে কেউ বাগডোগরা বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য ১০ কিলোমিটারের জন্য এসি ক্যাবের ভাড়া লাগবে গড়ে ৮০০ টাকা। নন এসি হলে ক্যাবের ক্ষেত্রে ওই ভাড়া ৭২০ টাকার মতো। এনজেপি থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে যেতে এসি ক্যাবে যাত্রীদের গুনতে হবে প্রায় ৯৫০ টাকা। তবে শহরের মধ্যেও ক্যাব ভাড়া করা যাবে।
পরিবহণ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তরবঙ্গের সমস্ত পর্যটনকেন্দ্রেই পরিষেবাটি চালু করা হবে। এর জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গাড়ির সংখ্য়া বাড়লে পরিষেবা ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
কদিন আগেই সিকিমের পরিবহণ দফতরের সচিব রাজ যাদব অ্যাপ ক্যাব চালুর কথা ঘোষণা করেন। তারপরই ক্ষোভ দানা বাঁধছিল এ রাজ্যের, বিশেষ করে এনজেপি ও বাগডোগরার গাড়িচালকদের মধ্যে। রাজ্য, সিকিমের আগেই ক্যাব নামানোয় কিছুটা হলেও সিকিমের ক্যাব ধাক্কা খাবে।