টাকা তুললেই যেমন ফোনে এসএমএস আসে, ঠিক সেভাবেই এবার থেকে রেশন তুললেই ফোনে এসএমএস (SMS) যাবে গ্রাহকের। ফলে যাঁর রেশন তিনি ছাড়া অন্য কেউ আর তুলতে পারবেন না।
'দুয়ারে রেশন' (Duare Ration) প্রকল্পে বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেবেন ডিলাররা। কী ভাবে রেশন পৌঁছনো হবে তা ঠিক করতে প্রত্যেক জেলায় পাইলট প্রজেক্ট শুরু করল রাজ্যের খাদ্য দফতর। এই জন্য ২৫টি রেশন দোকান (Ration Shop) ঠিক করা হয়েছে যারা গাড়ি করে উপভোক্তাদের বাড়িতে বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেবে।
কী ভাবে দেওয়া হবে রেশন?
জানা গিয়েছে, গাড়িতে থাকবে ই-পস বা ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অফ সেল (Electronic Point Of Sale) মেশিন। যা দিয়ে উপভোক্তার আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হবে। আঙ্গুলের ছাপ ছাড়া কাউকে রেশন দেওয়া হবে না। যে মুহূর্তে আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হবে সঙ্গে সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে চলে যাবে এসএমএস। যেভাবে এটিএম থেকে টাকা তুললে মোবাইলে মেসেজ যায়, ঠিক সেইভাবেই রেশন তুললে যাবে এসএমএস। ফলে যাঁর রেশন, তিনি ছাড়া অন্য কেউ তা তুলতে পারবেন না।
এছাড়া থাকবে ওজন মাপার মেশিন (Weight Machine)। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওজন করে রেশন দেবেন ডিলাররা। প্রতিটি পরিবারে চাল, গম মিলিয়ে প্রায় ২০ থেকে ২৫ কিলো রেশন পৌঁছে দিতে হবে।
বাড়ছে রেশন দোকান
এই কাজে রেশন দোকানেগুলির ওপর থেকে চাপ কমাতে দোকান প্রতি গ্ৰাহক সংখ্যা কমান হবে বলে জানা যাচ্ছে। প্রত্যেক ডিলার সর্বাধিক ৭০০০ গ্ৰাহককে রেশন পৌঁছে দেবেন। এর জন্য আরও ১০০০ নতুন রেশন দোকান তৈরি করছে রাজ্য। প্রসঙ্গত এই মূহুর্তে রাজ্যে মোট রেশন দোকানের সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার ৭০০ টি।