পশ্চিমবঙ্গে হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে আতঙ্ক বাড়ছে। ডেঙ্গি হল এডিস মশার কামড়ে একটি রোগ। এতে মাথাব্যথা, পেশি এবং জয়েন্টে ব্যথা হয়। ডেঙ্গি হলে প্লেটলেটও দ্রুত কমতে থাকে। তখন রোগীকে অবিলম্বে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। সময়মতো চিকিৎসা না পেলে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।
ডেঙ্গির সাধারণ উপসর্গ
ডেঙ্গির বেশ কতগুলো সাধারণ উপসর্গ রয়েছে। যেমন, জ্বর, মাথাব্যথা, চোখের ব্যথা, পেশী এবং জয়েন্টে ব্যথা, ক্লান্তি, বমি বমি ভাব, বমি হওয়া, ও ত্বকে লাল দাগ। এগুলো হল ডেঙ্গির সাধারণ উপসর্গ। তবে ডেঙ্গির সংক্রমণ যদি গুরুতর অবস্থাতে পৌঁছয় বা DHF (ডেঙ্গি হেমোরেজিক ফিভার) হয় তাহলে লক্ষণ বদলে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে রক্তনালীগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং প্লেটলেটও হু হু করে কমতে শুরু করে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে যে লক্ষণগুলি দেখা যায় সেগুলি হল- পেটে ব্যথা, অবিরাম বমি হওয়া, মাড়ি বা নাক থেকে রক্তপাত, পায়খানা বা বমিতে রক্ত পড়া, শ্বাস নিতে অসুবিধা, ক্লান্তি বোধ ও বিরক্তি বা অস্থিরতা।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির লক্ষণ চিনতে পারলেই এর চিকিৎসা সম্ভব। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন অনুসারে, ডেঙ্গি সংক্রমণ বিশ্বের ১০০ টিরও বেশি দেশে দেখা গেছে। আনুমানিক তিন বিলিয়ন মানুষ ডেঙ্গি-আক্রান্ত এলাকায় বাস করে। এর মধ্যে রয়েছে ভারত এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্য অংশ যেমন চিন, আফ্রিকা, তাইওয়ান এবং মেক্সিকো।
ডেঙ্গি হলে চিকিৎসা প্রয়োজন বলে মত ডাক্তারদের। তাঁদের মতে, আতঙ্কিত না হয়ে নিয়মকানুন মেনে চললে সহজেই এ রোগের জটিলতা এড়ানো সম্ভব। যেমন, ডেঙ্গি আক্রান্তদের প্রচুর পরিমাণে স্যালাইন ও তরল খাবার খাওয়া দরকার। পর্যাপ্ত জল খাওয়া প্রয়োজন। ডেঙ্গির উপসর্গগুলি দেখা গেলে অবশ্যই ডাক্তার দেখানো দরকার।