ভাবনাচিন্তা না করে শপিং করলে বা নির্দিষ্ট কোনও কারণ ছাড়াই লোন নিলে যে কেউ ঋণের জালে জড়িয়ে যেতে পারেন। এমনকী আপনার উপার্জনও সেখানে কাজে লাগবে না। এই পরিস্থিতিতে যদি নিজের সম্পত্তি বাড়াতে চান তাহলে সবচেয়ে প্রথমে পুরনো ঋণ মেটাতে হবে। তবে সেটি খুব একটা সহজ কাজ নয়। তারজন্য ভেবে চিন্তে এগোতে হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, ঋণের জাল থেকে মুক্তি পেতে গেলে কোন বিষয়গুলিতে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
১. রোজগার ও মোট ঋণের হিসেব করুন
সবচেয়ে প্রথমেই মোট রোজগার ও মোট ঋণের হিসেব করতে হবে। তাতে আপনি বুঝতে পারবেন যে কীভাবে পেমেন্ট করা যাবে।
২. আগে ক্রেডিট কার্ডের ঋণ শোধ করুন
ক্রেডিট কার্ড (Credit Card) আমরা খুব সহজেই ব্যবহার করতে পারি, কিন্তু তার টাকা শোধ করতে না পারলে পরে সেটি বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এর কারণ হল, সঠিক সময় ক্রেডিট কার্ডের পেমেন্ট না করলে অনেক বেশি হারে সুদ দিতে হয়। শুধু তাই নয়, দিতে হয় পেনাল্টিও। যার ফলে সিভিল স্কোর বা ক্রেডিট স্কোরেও প্রভাব পড়ে। তাই এমনটা হলে কোনও বন্ধু বা আত্মীয়র থেকে ধার নিয়ে হলেও ক্রেডিট কার্ডের টাকা শোধ করুন। আর যদি তাও না হয় তাহলে পার্সোনাল লোন নিয়ে একসঙ্গে সমস্ত বিল মিটিয়ে দিতে পারেন। কারণ ক্রেডিট কার্ডের সুদের চেয়ে অনেক কম সুদের হারে পার্সোনাল লোন পাওয়া যায়।
৩. ক্রেডিট কার্ডের সম্পূর্ণ বিল মেটান
সবসময় ক্রেডিট কার্ডের সম্পূর্ণ বিল মেটান উচিত। কারণ আপনি যদি শুধু মিনিমাম ব্যালেন্স পেমেন্ট করতে থাকেন তাহলে ঋণের জালে পুরোপুরি জড়িয়ে পড়বেন। তাই সবসময় সম্পূর্ণ বিল পরিশোধ করুন।
৪. অপ্রয়োজনীয় খরচ কমান
যদি আপনি মনে করেন যে আপনার রোজগারের চেয়ে খরচ বেশি হয়ে যাচ্ছে, তাহলে অবিলম্বে বাজেট করুন এবং নিজের অপ্রয়োজনীয় খরচগুলি চিহ্নত করুন। আপনাকে দেখতে হবে কোন খাতে খরচটা না করলেও হয়। আর সেটা হলে, আপনি অপ্রয়োজনীয় খরচ কমাতে পারবেন।
৫. রিপেমেন্টের প্ল্যান তৈরি করুন
যদি আপনার বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণ থাকে তাহলে সবচেয়ে প্রথমে ব্যালেন্স ট্রান্সফারের চেষ্টা করুন। যেখানে সবচেয়ে কম সুদের হারে লোন পাওয়া যাবে সেখানে ট্রান্সফার করুন। এছাড়াও যে সম্পত্তি আপনার কাজে লাগে না বা যার থেকে কোনও উপার্জন নেই সেগুলিকে বিক্রির বিষয়েও আপনি ভাবনাচিন্তা করতে পারেন।