Bangladeshi Ilish Vs Bombay Hilsa: বৃহস্পতিবার সন্ধের সময় পেট্রাপোল সীমান্ত পেরিয়ে এই রাজ্যে ৪০ টন ইলিশ ঢুকেছে। ফলে খুসির হাওয়া এপার বাংলার ক্রেতা-বিক্রেতা থেকে ভোজনরসিকরা। বাংলাদেশি ইলিশ চলে আসায় বাংলার বাজারে ইলিশের জোগান অনেকটাই বেড়েছে।
কিন্তু, খাঁটি বাংলাদেশি ইলিশ চিনতে এবার রীতিমতো ধন্দে এপার বাংলার সাধারণ মানুষ! কারণ, পেট্রাপোল সীমান্ত পেরিয়ে এই রাজ্যে ঢোকা মেঘনা-পদ্মার ইলিশ আর গুজরাত থেকে আমদানি হওয়া ইলিশ প্রায় একই রকম দেখতে। এ কথা নিজেরাই বলছেন, হাওড়া-শিয়ালদার বাজারের মাছ ব্যবসায়িরা।
বাংলাদেশি ইলিশ আর বম্বে ইলিশ প্রায় একই রকম দেখতে
সামান্য কিছু ফারাক যে একেবারে নেই, তা-ও নয়। তবে সে ফারাক সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা না থাকলেই ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই। বলছেন আগরপাড়া স্টেশন সংলগ্ন এক মাছ বিক্রেতা বাবু সরকার। তিনি বলেন, সাধারণ ক্রেতা তো দূরের কথা, এই দুই ইলিশের চেহারায় ফারাক এতই সুক্ষ্ম আর সামান্য যে তা চিনতে সমস্যা হতে পারে খুচরো মাছ বিক্রেতাদেরও।
হাওড়া-কলকাতার পাইকারি মাছ সরবরাহকারী আদিত মজুমদার বলেন, “এ কথা একদম সত্যি যে, পেট্রাপোল সীমান্ত পেরিয়ে যে ইলিশ এ রাজ্যের বাজারে পৌঁছেছে, তার সঙ্গে গুজরাত থেকে আমদানি করা ‘বম্বে ইলিশ’-এর চেহারার তফাত করা মুশকিল। বাংলাদেশ থেকে যে ইলিশ এসেছে, সেটা মেঘনা-পদ্মার নয়, চট্টগ্রামের মাছ। আর এই মাছের চেহারার সঙ্গে বম্বে ইলিশের ফারাক প্রায় নেই বললেই চলে। তবে খুব খুঁটিয়ে দেখলে এই দুই জায়গার মাছের আঁশের গড়ন আর রঙের তফাতটা চোখে পড়বে।”
চট্টগ্রামের ইলিশ আর বম্বে ইলিশের ফারাক কোথায়?বাংলাদেশের ইলিশের আঁশ ছোট, আর বম্বে-গুজরাতের ইলিশের আঁশের সাইজ একটু বড়। বাংলাদেশ-চট্টগ্রামের ইলিশ একটু বেশি চকচকে আর লালচে। আর বাকি ইলিশের (ডায়মন্ডহারবার আর বম্বে-গুজরাতের ইলিশের) আঁশ একটু কালচে, সামান্য ছোট-ঘন। আদিত মজুমদার বলেন, “তবে বাংলার বাজারে বম্বে-গুজরাতের ইলিশের জোগান প্রায় ফুরিয়ে এসেছে। তাই কিছুটা নিশ্চিন্ত হতে পারেন।” আর ছবিতে দেখানো ফরাকটা মনে রেখে একটু সতর্ক হয়ে দেখে কিনলেই আর ঠকে যাওয়ার ঝুঁকি থাকবে না।