
রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছনোর পর অবশেষে কিছুটা স্বস্তি, কমতে শুরু করেছে সোনা ও রূপার দাম। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর বিনিয়োগকারীরা এখন লাভ ঘরে তুলছেন (প্রফিট বুকিং), যার জেরেই এই পতন।
বহু-পণ্য বাজার (MCX)-এ বুধবার সোনার দাম কমেছে ৫১১ টাকা। ফলে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম নেমে এসেছে ১,৩৩,৬৬৯ টাকায়। একই সঙ্গে রুপোর দামও বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে, প্রতি কেজিতে ১,২৭৭ টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ১,৯৬,৮০০ টাকায়।
রেকর্ড উচ্চতা থেকে কতটা নামল দাম?
চলতি মাসের শুরুতেই সোনা ও রুপো রেকর্ড সর্বোচ্চ দামে পৌঁছেছিল। ৫ ফেব্রুয়ারি ১০ গ্রাম সোনার ফিউচার দামের রেকর্ড ছিল ১,৩৫,৪৯৬ টাকা। সেই তুলনায় বর্তমানে প্রায় ২,০০০ টাকা কমেছে। রুপোর ক্ষেত্রে রেকর্ড দাম ছিল প্রতি কেজি ২,০১,৬১৫ টাকা। এখন তা প্রায় ৫,০০০ টাকা কম দামে লেনদেন হচ্ছে।
কেন কমছে সোনা ও রুপোর দাম?
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পতনের পিছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে।
প্রফিট বুকিং: দীর্ঘদিন দাম বাড়ার পর বিনিয়োগকারীরা লাভ তুলে নিতে বিক্রি করছেন।
মার্কিন অর্থনৈতিক তথ্যের অপেক্ষা: মার্কিন চাকরির রিপোর্ট ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ইঙ্গিতের দিকে তাকিয়ে সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন ট্রেডাররা।
স্বল্পমেয়াদি চাহিদা হ্রাস: আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বাজারে সাময়িকভাবে কেনাবেচার গতি কমেছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে পরিস্থিতি
আন্তর্জাতিক বাজারে এখনও সোনা ও রুপো উচ্চ স্তরের কাছাকাছিই রয়েছে। বর্তমানে সোনার দাম প্রতি আউন্স ৪,৩১১ থেকে ৪,৩৩৪ ডলারের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। রুপোর দাম রয়েছে প্রতি আউন্স ৬৩.২ থেকে ৬৩.৭ ডলারের আশেপাশে। যদিও দাম কিছুটা কমেছে, তবুও দীর্ঘমেয়াদে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
সব মিলিয়ে, রেকর্ড দামের পর এই পতনকে বাজারের স্বাভাবিক সংশোধন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিনিয়োগকারীদের জন্য এখন পরিস্থিতি বুঝে সতর্ক সিদ্ধান্ত নেওয়াই বুদ্ধিমানের।