প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৫ অগাস্ট লাল কেল্লা থেকে ভাষণে জিএসটি সংস্কারের কথা ঘোষণা করেন। দীপাবলির আগে তা বাস্তবায়িত হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন। যা দেশবাসীর জন্য দিপাবলীর উপহার হতে চলেছে। এরই মধ্যে আগামী সপ্তাহে জিএসটি কাউন্সিলের সভা রয়েছে। তার আগে জিএসটি স্ল্যাবের পরিবর্তন নিয়ে বড় আপডেট এসেছে।
এই আপডেট অনুসারে, বৈঠকে সরকার 'জিরো' জিএসটি স্ল্যাবের পরিধি বাড়াতে পারে। এতে অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অন্তর্ভুক্ত করতে পারে, যা এখন পর্যন্ত ৫% এবং ১৮% জিএসটির আওতায় আসে। প্রতিবেদন অনুসারে, এই পণ্যগুলিতে মূলত খাদ্য পণ্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যার মধ্যে UHT দুধ, প্রি-প্যাকেজড পনির, পিৎজা ব্রেড এবং রুটি 'জিরো' GST স্ল্যাবের আওতায় আনা যেতে পারে।
১৮% নয়, এবার পরোটার উপরও জিএসটি থাকবে না
বিজনেস টুডের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, তালিকায় আরও অনেক পণ্য রয়েছে যা 'জিরো' স্ল্যাবের আওতায় আনার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। রেডি টু ইট রুটির পাশাপাশি, পরোটাও অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে যার উপর এখনও পর্যন্ত ১৮% জিএসটি প্রযোজ্য। কিন্তু সরকার মন্ত্রীদের গোষ্ঠীর প্রস্তাব অনুসারে এটিকে শূন্য হারের নীচে আনতে প্রস্তুত। খাদ্যপণ্যের পাশাপাশি, শিক্ষা সম্পর্কিত জিনিসপত্রও সস্তা হতে পারে। বর্তমানে এগুলোর উপর প্রযোজ্য জিএসটিও শূন্যে নামিয়ে আনা যেতে পারে।
শিক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত এগুলিও এর আওতায় আসবে
জিএসটি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে মানচিত্র, ওয়াটার সার্ভে চার্ট, অ্যাটলাস, ওয়াল ম্যাপ, গ্লোব, মুদ্রিত শিক্ষামূলক চার্ট, পেন্সিল-শার্পনার এবং অনুশীলন বই ইত্যাদি। গ্রাফ বই এবং ল্যাবরেটরি নোটবুক, যেগুলিতে বর্তমানে ১২% কর আরোপ করা হয়, সেগুলিকে জিএসটি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
হ্যান্ডলুম প্রোডাক্টের উপর অব্যাহতি মিলতে পারে
জিরো স্ল্যাবে নতুন পণ্য অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি, জিএসটি হার হ্যান্ডলুম প্রোডাক্ট এবং কাঁচা রেশমের উপর জিএসটি অব্যাহতি অব্যাহত রাখার সুপারিশ করেছে। যা দেশের এই খাতের সঙ্গে যুক্ত কারিগর এবং ছোট তাঁতিদের জন্য স্বস্তির কারণ হবে। আসলে, মূলত এর উপর ৫% জিএসটি আরোপের কথা বিবেচনা করা হয়েছিল।
এছাড়াও, ফিটমেন্ট কমিটি প্রস্তাব করেছে যে মাখন, কনডেন্সড মিল্ক, জ্যাম, মাশরুম, খেজুর, শুকনো ফল এবং নিমকি, চানাচুরের মতো পণ্যগুলিকে বর্তমান ১২% জিএসটি স্ল্যাব থেকে বাদ দিয়ে মাত্র ৫% করা উচিত।
সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শিক্ষার্থী সকলেই স্বস্তি পাবেন
এই পদক্ষেপটি জিএসটি স্ল্যাবের সংখ্যা হ্রাস করে পরোক্ষ কর কাঠামোকে যুক্তিসঙ্গত করার জন্য সরকারের ব্যাপক প্রচেষ্টার অংশ। জিরো জিএসটি স্ল্যাব সম্প্রসারণ করলে সাধারণ পরিবার এবং শিক্ষার্থীদের জন্য যথেষ্ট স্বস্তি আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, এই সুপারিশগুলির উপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগামী সপ্তাহে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ৫৬তম জিএসটি কাউন্সিলের সভায় নেওয়া হবে, যা ৩-৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে পারে।