GST on Gold Silver: সোনা-রুপোর ওপর এখন GST কত? গয়নার ক্ষেত্রে কিন্তু আলাদা নিয়ম

যদি আপনি সোনা ও রুপোয় বিনিয়োগ করতে চান, তাহলে গয়না কেনা এড়িয়ে চলুন। বিনিয়োগ এবং গয়নার ক্ষেত্রে ভারতে সোনা ও রুপো সবসময়ই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি উৎসব, বিবাহ এবং বিশেষ অনুষ্ঠানে সোনা ও রুপোর চাহিদা বাড়ে। কিন্তু যখনই কোনও গ্রাহক সোনা বা রুপো কেনেন, তখন তার দাম কেবল বাজার মূল্য দ্বারা নির্ধারিত হয় না, বরং এর উপর আরোপিত করও সরাসরি প্রভাব ফেলে। বর্তমানে, সোনা ও রুপোর উপর পণ্য ও পরিষেবা কর (GST) প্রযোজ্য, যা তাদের দামকে প্রভাবিত করে।

সরকারি নিয়ম অনুসারে, সোনা ও রুপোর উপর ৩% জিএসটি ধার্য করা হয়, অর্থাৎ, যদি সোনার বাজার মূল্য প্রতি ১০ গ্রামে ১,০০,০০০ টাকা হয়, তাহলে অতিরিক্ত জিএসটি হিসেবে ৩০০০ টাকা দিতে হবে। একইভাবে, রুপোর উপরও ৩% জিএসটি হার প্রযোজ্য। এর পাশাপাশি, তৈরির চার্জ হিসেবে গয়নার উপর আলাদাভাবে ৫% জিএসটি ধার্য করা হয়। এর ফলে, সোনা ও রুপোর গয়না কেনার সময় গ্রাহকদের প্রকৃত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্য দিতে হয়।

সোনা ও রুপোর উপর প্রযোজ্য জিএসটি হার-
ধাতুর জিএসটি হার
সোনা- ৩%
রুপো – ৩%
গয়নার উপর মেকিং চার্জ - ৫%

উদাহরণস্বরূপ, ধরুন সোনার বাজার মূল্য প্রতি ১০ গ্রামে ১,০০,০০০ টাকা। এইভাবে এর সঙ্গে জিএসটি এবং তৈরির চার্জ যোগ করা হয়েছে।
সোনার ভিত্তি মূল্য: ১,০০,০০০
৩% জিএসটি: ৩০০০
মেকিং চার্জ (১০%): ১০,০০০
মেকিং চার্জের উপর ৫% জিএসটি: ₹৫০০

মোট খরচ = ১,০০,০০০ + ৩০০০ + ১০,০০০ + ৫০০ = ১,১৩,৫০০
এই অনুযায়ী, একজন গ্রাহককে ১০ গ্রাম সোনার গয়নার জন্য প্রায় ১,১৩,৫০০ টাকা দিতে হবে, যেখানে সোনার আসল দাম মাত্র ১,০০,০০০ টাকা।

জিএসটি বাস্তবায়নের আগে বিভিন্ন রাজ্যে সোনা ও রুপোর উপর আলাদা আলাদা কর কাঠামো ছিল। কোথাও ভ্যাট, কোথাও আবগারি শুল্ক এবং কোথাও পরিষেবা কর প্রযোজ্য ছিল। কিন্তু ২০১৭ সালের জুলাই মাসে জিএসটি চালু হওয়ার পর, সারা দেশে কর ব্যবস্থা অভিন্ন করা হয়েছিল। এর ফলে ব্যবসায়ী এবং গ্রাহকদের জন্য স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

সোনা ও রুপোর উপর কর আরোপের ফলে বিনিয়োগকারীদেরও ক্ষতি হয়। ভারত যেহেতু সোনার বৃহত্তম ভোক্তা, তাই সরকার এখান থেকে বিপুল কর রাজস্ব আয় করে। তবে, শিল্পটি দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে যে সোনার উপর জিএসটি হার ৩% থেকে কমিয়ে ১% করা হোক, যাতে ব্যবহার এবং বিনিয়োগ উভয়কেই উৎসাহিত করা যায়।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ভারত প্রতি বছর প্রায় ৮০০ থেকে ৯০০ টন সোনা আমদানি করে। কাস্টম শুল্ক এবং জিএসটির কারণে গ্রাহককে খুব বেশি দামে সোনা কিনতে হয়।

বর্তমানে সোনা ও রুপোর উপর ৩% জিএসটি এবং মেকিং চার্জের উপর ৫% জিএসটি আরোপ করা হয়। এই কর কাঠামো গ্রাহকদের পকেটের উপর অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দেয়, তবে এটি সরকারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজস্ব উৎস।