GST Old Stock Problem: সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে বড় বদল আনতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। জিএসটি (GST) বা পণ্যে ও পরিষেবায় করের হার কমছে। এতদিন যেখানে ১২ শতাংশ বা ২৮ শতাংশ হারে কর দিতে হত, এবার তা কমিয়ে আনা হচ্ছে ৫ শতাংশ ও ১৮ শতাংশে। এই নতুন নিয়ম কার্যকর হবে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে। সরকারের আশা, এতে সাধারণ মানুষের খরচ কমবে, বাড়বে চাহিদা।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এই কর হ্রাসের সুবিধা কি সত্যিই পৌঁছবে সাধারণ ক্রেতার কাছে? কারণ দোকানদারদের মতে, এখনো বহু জায়গায় দোকানে রয়ে গিয়েছে পুরনো দামের স্টক। সেই সব পণ্যের উপর আগের উচ্চ হারে জিএসটি লাগানো আছে, নতুন হারে নয়। ফলে দাম কমিয়ে বিক্রি করলে লোকসানে পড়তে পারেন বিক্রেতারা।
নয়ডার এক দোকানি জানিয়েছেন, তাঁর দোকানে এখনও আগের হারে কেনা প্রচুর পণ্য পড়ে রয়েছে। এখন যদি হঠাৎ নতুন হারে বিক্রি করতে হয়, তাহলে লাভ তো দূরের কথা, মূলধনই উঠে আসবে না। তাই তাঁরা অপেক্ষা করছেন কোম্পানি বা ডিস্ট্রিবিউটরের দিক থেকে কিছু ‘অ্যাডজাস্টমেন্ট’ বা সমর্থনের।
চেম্বার অফ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান বৃষেজ গোয়েলও বলেছেন, বহু ব্যবসায়ীর দোকানে এখনও পুরনো দামের মাল পড়ে আছে। হঠাৎ করে নতুন রেটে বিক্রি সম্ভব নয়। যদি কোম্পানিগুলি ‘ক্রেডিট নোট’ দেয়, তাহলে কিছুটা সামাল দেওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ ব্যবসায়ী আগের দামে পণ্য বিক্রি করলেও কোম্পানি তাঁদের সেই ক্ষতি পুষিয়ে দেবে।
গোয়েলের কথায়, বড় বড় মলে হয়তো নতুন সিস্টেমে জিএসটি আপডেট করা সম্ভব, কিন্তু ছোট দোকানগুলির পক্ষে সেটা সহজ নয়। তাই সরকারের উচিত, ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ সমাধান বের করা।যেমন নতুন স্টিকার লাগানো বা বিকল্প পথে পুরনো স্টক পরিষ্কার করার সুযোগ দেওয়া।
সব মিলিয়ে, কর কমার খবরে যেমন সাধারণ মানুষের মুখে হাসি, তেমনই ব্যবসায়ীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। সরকারের উদ্দেশ্য যদি সত্যিই দামের ভার কমিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়নে বিক্রেতাদের জন্যও স্পষ্ট নির্দেশিকা ও সমর্থন জরুরি। না হলে কর কমলেও দাম কমার সম্ভাবনা থাকবে প্রশ্নচিহ্নের মুখে।