ইলিশের সঙ্গে মধুচন্দ্রিমা শেষ। আর আসবে না বাংলাদেশ থেকে ইলিশ। কারণ পূর্ব ঘোষণামতো বন্ধ হয়ে গেল ইলিশের আমদানি। ইলিশের প্রজনন মরশুম শুরু হয়ে যাচ্ছে ঘোষণা করে ৪ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে আমদানিও বন্ধ হয়ে যাবে।
ইলিশ নিয়ে আসুন , নইলে পস্তাতে হবে
যা ইলিশ এসেছে, তা জলদি কিনে নিন। কারণ ৩-৪ দিন পদ্মার ইলিশ টাটকা মিলবে। তারপর ফের সেই বরফে চলে যাবে পদ্মার ইলিশ। ফলে কাঁচা ইলিশের স্বাদও ঢুকে যাবে হিমঘরে। বাজারে যে পরিমাণ ইলিশ রয়েছে, তা ফুরোতে বেশিদিন সময় লাগবে না। তাই এই বেলা ইলিশ কিনে নিয়ে আসুন নইলে পস্তাতে হতে পারে।
২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ
ইলিশের প্রজনন বাড়াতে ইলিশের প্রধান প্রজনন মরশুম বিবেচনায় ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন বাংলাদেশে পদ্মা, মেঘনা সহ বিভিন্ন নদীতে এই মাছ ধরার ও কেনা-বেচার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে শেখ হাসিনা সরকার। রবিবার মধ্যরাত থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রতি বছরের মতো এ বছরও ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে। শনিবার যে ট্রলার ও ডিঙিগুলি মাছ ধরতে গিয়েছে, সেগুলি ফিরলেই আর আপাতত ২২ দিন ট্রলার যাবে না।
প্রথমে ১২ অক্টোবর বলেও ৩ অক্টোবর পর্যন্ত সীমিত করা হয় রফতানি
এর আগে বাংলাদেশ সরকার পশ্চিমবঙ্গকে পুজো উপহার উপলক্ষ্যে ইলিশ দেবেন বলে ঘোষণা করেন। কয়েক হাজার মেট্রিক টন ইলিশ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। প্রাথমিকভাবে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ রফতানি করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পরে সময় এক সপ্তাহ কমিয়ে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছিল এ রাজ্যের ইলিশ ব্যবসায়ীরা।
নির্দেশ অমান্য করে ইলিশ ধরা হলে কড়া ব্যবস্থা
বাংলাদেশের মৎস্য আধিকারিকরা সে দেশের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরলে কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাসহ দুরকম দণ্ডেই দণ্ডিত করা হতে পারে। তা ছাড়া এ সময়ে মা ইলিশ আহরণ থেকে বিরত থাকা জেলেদের সহায়তা হিসেবে ২০ কেজি করে ভিজিএফের চাল দেওয়া হবে।