মাসে ১৫ হাজার টাকা সুদ হিসেবে পেতে হলে মোট কত টাকা জমা রাখতে হবে?FD Calculator SBI: কিছু না করেই মাসে ১৫ হাজার টাকা নিশ্চিত ইনকাম। কি, শুনে অবিশ্বাস্য লাগছে? আসলে সঠিকভাবে বিনিয়োগ করতে পারলে ব্য়াঙ্কের সুদ থেকেই এই আয় করা সম্ভব। মাইনের পাশাপাশি এই বাড়তি টাকা মূল্যবৃদ্ধির বাজারে সত্যিই কাজে লাগতে পারে। তাছাড়া যাঁরা ইতিমধ্যেই রিটায়ার করে গিয়েছেন, বা সবে নতুন ব্যবসা শুরু করেছেন, তাঁদের জন্যও এই ১৫ হাজার টাকা একটি 'সেফটি নেট' এর কাজ করতে পারে। এই ধরনের বড় অঙ্কের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ফিক্সড ডিপোজিট বা এফডিই সবচেয়ে নিরাপদ অপশন। মাসে ১৫ হাজার টাকা সুদ হিসেবে পেতে হলে মোট কত টাকা জমা রাখতে হবে? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
বর্তমানে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায়(SBI FD Rate) ৫ বছর থেকে ১০ বছর মেয়াদি ফিক্সড ডিপোজিটে সাধারণ গ্রাহকদের জন্য সুদের হার 6.05%। সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য এই রেট কিছুটা বেশি, 7.05%। এই সুদের হার ধরেই প্রয়োজনীয় কর্পাস বা মোট বিনিয়োগের অঙ্ক হিসাব করা যাক।
প্রথমে টার্গেট স্থির করা যাক। মাসে ১৫ হাজার টাকা সুদ মানে বছরে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। অর্থাৎ আপনার এফডি থেকে বছরে মিনিমাম এই পরিমাণ সুদ আসতে হবে।
সাধারণ গ্রাহকদের ক্ষেত্রে কত টাকা দরকার?
যদি সুদের হার ৬.০৫ শতাংশ ধরা হয়, তা হলে হিসাব অনুযায়ী বছরে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা সুদ পেতে মোট বিনিয়োগ প্রয়োজন প্রায় ২৯.৭ লক্ষ টাকা থেকে ৩০ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। সহজ ভাষায় বললে, প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা ফিক্সড ডিপোজিটে রাখলে তবেই মাসে গড়ে ১৫ হাজার টাকা সুদ পাওয়া সম্ভব।
সিনিয়র সিটিজেনদের ক্ষেত্রে
সিনিয়র সিটিজেনদের ক্ষেত্রে সুদের হার ৭.০৫ শতাংশ। ফলে কর্পাস কিছুটা কম হলেও হবে। এই ক্ষেত্রে বছরে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা সুদ পেতে আনুমানিক ২৫.৫ লক্ষ টাকা থেকে ২৬ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলেই মাসে ১৫ হাজার টাকা সুদ পাওয়া সম্ভব।
বাড়িতে মা, বাবা বা অন্য় কেউ সিনিয়র সিটিজেন থাকলে তাঁর নামে এফডি করতে পারেন। আবার
Tax ও মাথায় রাখুন
এখানে মনে রাখা দরকার, এফডির সুদের উপর কর প্রযোজ্য। আপনার আয় যদি করযোগ্য সীমার মধ্যে পড়ে, তা হলে টাকা কিছুটা কম হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কর বাদ দিয়ে ১৫ হাজার টাকা হাতে পেতে চাইলে কর্পাস আরও কিছুটা বাড়াতে হতে পারে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, ফিক্সড ডিপোজিটের মাধ্যমে মাসে নিশ্চিত ১৫ হাজার টাকা সুদ পেতে চাইলে সাধারণ গ্রাহকদের প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা এবং সিনিয়র সিটিজেনদের প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা কর্পাস প্রয়োজন। এই টাকার অঙ্কটা অনেক মনে হতে পারে। কিন্তু টাকা অপচয় বন্ধ রেখে স্থিরভাবে জমালে এই টার্গেটে পৌঁছনো সম্ভব। বিশেষত বেসরকারি চাকরিজীবীদের এই লক্ষ্য মাথায় রেখে এখন থেকেই অর্থ সঞ্চয় শুরু করে দেওয়া উচিত। অনেকে আবার জমি, পুরনো বাড়ি ইত্যাদি বিক্রি করে হাতে মোটা টাকা পান। তাঁরাও এভাবে টাকা বিনিয়োগ করে রাখতে পারেন।