পশ্চিমবঙ্গ খসড়া ভোটার লিস্টSIR-এর প্রথম ধাপের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন চলছে ড্রাফ্ট ভোটার লিস্ট তৈরির কাজ। এটি মঙ্গলবার, অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে। আর সেই খসড়া ভোটার তালিকায় নিজের নাম রয়েছে কিনা, তা দেখা মাস্ট।
এখন প্রশ্ন হল, ড্রাফ্ট ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে কি না, সেটা অনলাইনে খুঁজে দেখবেন কীভাবে? আর সেই উত্তরটাও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তাই আর সময় নষ্ট না করে গোটা পদ্ধতি সম্পর্কে বিশদে জেনে নিন।
কীভাবে ভোটার তালিকায় নাম খুঁজবেন?
এনুমারেশন ফর্ম জমা দিয়েছেন নিশ্চয়ই। এবার তাহলে ড্রাফ্ট লিস্টে নাম খোঁজার পালা। এক্ষেত্রে আপনি অনলাইন এবং অফলাইনে নিজের নাম খুঁজে নিতে পারবেন।
তবে, অনলাইনে আপনি সহজেই বাড়ি বসে নিজের নাম ভোটার লিস্টে খুঁজে নিতে পারবেন। তাই প্রথমে এই প্রক্রিয়াটা সম্পর্কে জেনে নিন।
অনলাইনে কীভাবে খুঁজবেন নাম?
নিজের নাম খসড়া ভোটার তালিকায় রয়েছে কি না, সেটা জানার সবথেকে ভাল পদ্ধতি হল অনলাইন। আপনি বাড়ি বসেই এই পদ্ধতিতে নাম খুঁজে নিতে পারবেন।
কোন কোন ওয়েবসাইটে দেখা যাবে নাম?
eci.gov.in বা ceowestbengal.wb.gov.in ওয়েবসাইটে যেতে পারেন। এই দুই ওয়েবসাইটেই খসড়া ভোটার তালিকা দেখতে পাবেন।
এই দুই সাইটে গিয়ে আপনি নিজের নাম বা এপিক নম্বর দিয়ে সার্চ করুন। তাহলেই দেখতে পারবেন আপনার নাম রয়েছে কি না। এটাই হল সহজ পদ্ধতি।
অ্যাপেও দেখা যাবে নাম
আপনি চাইলে নির্বাচন কমিশনের অ্যাপ অর্থাৎ ইসিআই নেট অ্যাপটিও মোবাইলে ডাউনলোড করে নিতে পারেন। এই অ্যাপের মাধ্যমেও একই নিয়মে নাম খুঁজে নিন। তাহলেই সবটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
তবে সবার পক্ষে অনলাইনে নাম খোঁজা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে অফলাইনেও নাম দেখা সম্ভব-
১. আপনি নিশ্চয়ই বিএলও-এর কাছেই ফর্মটা জমা দিয়েছেন। সেই বিএলও-এর সঙ্গেই এখন যোগাযোগ করুন। তাদের কাছে খসড়া ভোটার তালিকা দিয়ে রেখেছে কমিশন। তিনিই আপনাকে লিস্ট দেখে বলে দিতে পারবেন।
২. আপনার এলাকার রাজনৈতিক দলের কর্মীরা বিএলও হিসেবে কাজ করেছেন। তাদের কাছেও থাকবে খসড়া ভোটার লিস্ট। আপনি তাদের কাছ থেকেও লিস্ট দেখে নিতে পারবেন।
৩. কমিশনের সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছেই বুথ লেভেলের লিস্ট পাঠাবে। আপনি সেখান থেকেও নাম খুঁজে নিতে পারেন।
এরপরই শুরু হয়ে যাবে হিয়ারিং
১৬ তারিখ খসড়া লিস্ট বেরনোর পরই হিয়ারিং পর্ব শুরু হবে। এক্ষেত্রে সন্দেহ হলেই নির্বাচন কমিশন ডাকবে হিয়ারিংয়ে। এছাড়া এই সময় কোনও ভোটার লিস্ট থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্য অভিযোগও জানান যাবে। এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি বেরবে ফাইনাল ভোটার লিস্ট।