
বর্তমান যুগে অর্থ উপার্জন করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। যে হারে সব জিনিসের দাম বাড়ছে তাতে উপার্জন না বাড়ালে চলা খুব মুশকিল। যদিও এখন চাকরির বাজার খুবই খারাপ। বিশেষ করে এ রাজ্যে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বর্তমান অবস্থা কারোরই অজানা নেই। তবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রে অনলাইনে টিউশনি বা টিচিং শেখানোর অনেক বড় সুযোগ রয়েছে। সঠিকভাবে যদি গাইডলাইন মেনে শুরু করা যায়, তাহলে ঘরে বসেই আয় করতে পারবেন অথবা চাকরির পাশাপাশি অতিরিক্ত টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
করোনা মহামারির পর থেকেই ব্যবসা, চাকরি, শিক্ষকতা এইসব ক্ষেত্রে অনলাইনের যুগ শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেক সংস্থাই বাড়ি থেকে কাজ করার কৌশল নিয়েছে। একইভাবে, স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে দূরশিক্ষণে রূপান্তরিত হতে হয়েছিল। হোমস্কুলিং এইভাবে বাস্তবে পরিণত হয়েছে এবং এটি একটি বড় সাফল্য। এই রূপান্তরের প্রতিক্রিয়ায় অনেক অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক তাদের ব্যবসা বৃদ্ধির উপায় হিসেবে অনলাইন টিউটোরিংয়ের দিকে ঝুঁকছেন। আপনিও যদি এই অনলাইনে শিক্ষকতা শুরু করতে চান তাহলে ধাপে ধাপে এই পদ্ধতি মেনে চলুন।
প্রথম ধাপ
প্রথমেই ঠিক করে নিন কতগুলো বিষয় পড়াবেন অথবা আপনি কোন বিষয়ে পারদর্শী। এরপরই ঠিক করতে হবে অনলাইন টিউশন কতক্ষণ পর্যন্ত করবেন। আপনার কাছে অবশ্যই ল্যাপটপ বা উন্নত মানের ভাল ক্যামেরা রয়েছে এমন মোবাইল থাকা আবশ্যক। বাড়িতে যেন নেট কানেকশন অথবা ওয়াইফাই-এর ব্যবস্থা থাকে। টিউশনি যখন পড়াবেন তখন তার টাকা কীভাবে নেবেন সেটা ঠিক করে নিন। টিউশন প্যাকেজ ও স্লট আগে থেকে ঠিক করে রাখুন।
দ্বিতীয় ধাপ
অনলাইনে টিউশনি শুরু করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল অনলাইন মিটিং সফ্টওয়্যার থাকা। এখানে রইল কিছু অনলাইন সফ্টওয়্যার সাইট।
Zoho (Free)
Zoom (Free for 40 Minutes)
Google Meet (Free for one hour)
Skype (Free for one hour)
ফ্রি সেশনের পর আপনি চাইলে কিনতেও পারেন স্লট। সেক্ষেত্রে প্রতি মাসে একটা টাকা দিতে হবে আপনাকে। এরপর যে সাইটে আপনি টিউশন শুরু করবেন, একবার দেখে নেবেন সাইটের আওয়াজ ও ভিডিওর গুণগত মান।
তৃতীয় ধাপ
এরপর পরিকল্পনা করে নিন কতক্ষণ পড়াবেন। উদাহরণ স্বরূপ সকাল ৯টা থেকে ১০টা একটা ব্যাচ পড়ালেন আবার বিকেল ৪ থেকে ৫টা দ্বিতীয় ব্যাচ। মাঝে কোনও একটা ব্যাচ রাখতে পারেন যদি চান। এরমধ্যেই পড়ুয়ারা তাঁদের স্লট বেছে নিতে পারবেন।
চতুর্থ ধাপ
অনলাইনে ক্লাস করানোর জন্য সব সময় আলো রয়েছে এমন ঘর বেছে নিন। খুব বেশি পড়ুয়া নিয়ে নয়, বরং ৫-৬ জন করে পড়ুয়া নিয়ে এক-একটি ব্যাচ করান। আপনি আপনার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তাদের শেখার অভিজ্ঞতা বুঝতে এবং প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলি করার জন্য প্রতিক্রিয়াও চাইতে পারেন।
পঞ্চম ধাপ
আপনাকে এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বা যদি আপনি আগে টিউশনি করাতেন সেখানে বিজ্ঞাপন দিতে হবে। যদি ২ জনও আসে তাদের দিয়েই শুরু করে দিন। ধীরে ধীরে আপনার এই অনলাইন টিউশন ক্লাসের বিষয়টি এগিয়ে যেতে থাকবে। অনলাইন টিউশন ক্লাস শুরু করা একটি ফলপ্রসূ অভিজ্ঞতা হতে পারে কারণ এটি একটি কম খরচের উচ্চ-আয়ের ব্যবসা। যদি শিক্ষকতা আপনাকে আনন্দ দেয় এবং আপনি আপনার ঘরে বসেই কাজ করতে চান, তাহলে এটি আপনার জন্য একটি দুর্দান্ত ব্যবসায়িক ধারণা।