Indian Workers in Dubai: ভারত ও বাংলাদেশের অনেকেই দুবাইতে কাজ করতে যান। লেবার, ঝালাইকর্মী, মিস্ত্রি, মালবাহক এমনকি রাঁধুনি ও নাপিতের কাজ করতেও অনেকে সেদেশে পাড়ি দেন। এর প্রধান কারণ হল সেখানকার বেতন। দুবাইতে কাজ করতে যেমন কষ্ট আছে, তেমন ভাল আয়ের সম্ভাবনাও থাকে। সেই কারণেই সেখানে পাড়ি দেন বহু ভারতীয়।
কিন্তু সবার মনেই একটা সহজ প্রশ্ন আসে। দুবাইতে শ্রমিক হিসাবে কাজ করে ভারতীয়রা কত টাকা উপার্জন করেন? সব খরচের পর হাতে কত টাকা থাকে?
দুবাইতে প্রচুর ভারতীয় কাজ করেন
আগেই বলে রাখি, ভারত থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ দুবাইতে লেবার বা অনেক কম প্রশিক্ষণের কাজ করতে যান। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দূতাবাসের ২০২১ সালের তথ্য বলছে, সেদেশে প্রায় ৩৫ লক্ষ ভারতীয় বাস করেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই দুবাইতে আছেন।
দুবাইতে থাকা ভারতীয়রা বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করেন। এমনকি অনেকে সেখানে ব্যবসাও শুরু করে দিয়েছেন। এছাড়া অনেকে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতেও কাজ করেন। নির্মাণের ক্ষেত্রে সেখানে অনেক ভারতীয় কাজ করেন। ভারতীয় মিস্ত্রি, লেবাররা দক্ষ ও পরিশ্রমী হন।
দুবাইতে দুইভাবে কাজ করতে যাওয়া যায়।
প্রথমত, প্যাকেজে যেতে পারেন। সেখানে আপনাকে যে সংস্থা নিয়ে যাচ্ছে, তারাই খাবার ও বাসস্থান দিয়ে দেবে। সাধারণত কিছুটা কম বেতনের ও কম ট্রেনিং লাগে, এমন কাজে এটাই দেওয়া হয়। খাবার ও বাসস্থানের মান সংস্থা হিসাবে আলাদা হয়।
দ্বিতীয়ত, অন্য প্যাকেজে শুধুমাত্র আপনাকে বেতনের টাকাটুকু ধরে দিতে হবে।
কত টাকা পান দুবাইয়ে কর্মরত শ্রমিকরা
গড়ে হিসাব করলে দুবাইতে একজন লেবার-শ্রমিক ১,৫০০ থেকে ১,৮০০ দিরহাম বেতন পান। কিছুটা দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মীরা ২,০০০ দিরহাম বা তার বেশিও পেতে পারেন। বড় সংস্থাগুলি এই বেতন ছাড়াও কর্মীদের খাবার, থাকার জায়গা, চিকিৎসার ব্যবস্থা দেয়।
ভারতীয় মুদ্রায় ১,৫০০ দিরহাম মানে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। তবে দুবাইতে থাকার খরচও আছে। সেটা হলেও, একজন ব্যক্তি সেখানে একটু মেপে চললে মাসে ২৫-৩০ হাজার টাকা বাঁচিয়ে ফেলতে পারবেন।
দক্ষদের কদর অনেক বেশি
উপরে শুধু লেবারের কাজের কথা বলা হল। কোনও দক্ষ শ্রমিক, রাজমিস্ত্রি বা হেড ওয়েল্ডার বা লেবার সর্দাররা ৩,৫০০ থেকে ৪,০০০ দিরহাম পর্যন্ত বেতন পান। ফলে তাঁরা অনেকেই প্রায় লাখ টাকার কাছাকাছি বেতন পান। তবে সব কোম্পানি খাবার, থাকার জায়গা দেয় না। মনে রাখবেন, এটি প্রতি কোম্পানির নিয়ম হিসাবে আলাদা হয়। তাই আগে থেকেই এজেন্টের থেকে পুরো বিষয়টা জেনে নিন। সম্পূর্ণ হিসাব নিয়ে নেবেন।
অর্থাৎ, কয়েক বছর কাজ করে এক্সপেরিয়েন্স হয়ে গেলে, মিস্ত্রি-লেবাররা মাসে ৩৫-৪০ হাজার টাকা বাঁচিয়ে বাড়িতে পাঠাতে পারবেন। অনেক অভিজ্ঞ শ্রমিক ৫০ হাজার টাকারও বেশি জমান।
তবে হ্যাঁ, শুরুতেই বাড়িতে লাখ টাকা পাঠানোর দিবাস্বপ্ন দেখবেন না। বাস্তব ধারণা নিয়ে চলাই শ্রেয়।