Kali Puja business ideas: কালীপুজো মানেই আলোর উৎসব। পুজোর মরসুমে কেনাকাটার হিড়িক বাড়ে। এই সময়েই বাজারে মোমবাতি, প্রদীপ, মিষ্টির তুমুল চাহিদা তৈরি হয়। আর সেটা মাথায় রেখেই দু'টি ব্যবসার আইডিয়া দেওয়া হল। দু'টিই এখন রীতিমতো ট্রেন্ডে। একটি হল হ্যান্ডমেড ক্যান্ডেল। অপরটি হোমমেড চকোলেট। সবচেয়ে বড় কথা, মাত্র ১০,০০০ টাকা দিয়েই এই ব্যবসা শুরু করা যায়।
হ্যান্ডমেড ক্যান্ডেল
কালীপুজো প্রদীপ, মোমবাতি আর আলো ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না। এখন অনেকেই সাধারণ প্রদীপের বদলে সুগন্ধি ও ডিজাইনার ক্যান্ডেল পছন্দ করেন। গোল, ফুল, তারা বা সুুন্দর আকৃতির রঙিন ক্যান্ডেলের ডিম্যান্ড এখন বাজারে ব্যাপক। আপনি চাইলে বাড়ি থেকেই এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
মাত্র ৫,০০০ টাকায় প্রয়োজনীয় উপকরণ, মোম, সলতে, রঙ, ছাঁচ, প্যাকেজিং বক্স ইত্যাদি কেনা যায়। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে যেমন Amazon, Flipkart, Instagram বা স্থানীয় মেলাতেও বিক্রি করা যায়। ১টি ক্যান্ডেলের উৎপাদন খরচ পড়ে প্রায় ১৫–২০ টাকা, আর বিক্রি হয় ৭০-১০০ টাকায়। অর্থাৎ, লাভের মার্জিন প্রায় ৪ গুণ পর্যন্ত হতে পারে।
যদি একটু সৃজনশীলতা ব্যবহার করেন, যেমন ফুলের সেন্ট, কফি ক্যান্ডেল বা সুন্দর ডিজাইন তাহলে গ্রাহকদের আকর্ষণ আরও বাড়বে। বিশেষ করে কালীপুজোর সময় এই ক্যান্ডেল গিফট আইটেম হিসেবেও বিপুল জনপ্রিয়।
হোমমেড চকোলেট
চকোলেট মানেই উৎসবের মিষ্টি মুহূর্ত। কালীপুজো ও দীপাবলিতে উপহার দেওয়ার জন্য এখন অনেকেই চকোলেট বেছে নিচ্ছেন। দোকানে তৈরি চকোলেটের বদলে ঘরে বানানো চকোলেটের আলাদা কদর আছে, কারণ এগুলি বেশি স্বাস্থ্যকর ও দেখতে ফ্যান্সি।
মাত্র ১০,০০০ টাকায় এই ব্যবসাও শুরু করা যায়। কোকো পাউডার, মোল্ড, ড্রাই ফ্রুট, প্যাকেজিং সব মিলিয়ে প্রাথমিক বিনিয়োগ খুবই কম। এক কেজি চকোলেট তৈরি করতে খরচ হয় প্রায় ৪০০ টাকা। কিন্তু বিক্রি হয় ৮০০–১০০০ টাকায়। অনলাইন ও অফলাইন দুই জায়গাতেই এর বেশ ডিম্যান্ড আছে।
কালীপুজোর সময় ছোট প্যাকেটে ‘গিফট বক্স চকোলেট’ বানিয়ে বিক্রি করলে লাভ আরও বেশি। আপনি চাইলে চকোলেটের সঙ্গে গ্রিটিংস কার্ড বা ছোট ক্যান্ডেল জুড়ে গিফট কম্বোও বানাতে পারেন।
কম পুঁজিতে বাড়ি বসেই এই দুই ব্যবসা শুরু করা যায়। কালীপুজোর আগেই যদি প্রস্তুতি শুরু করেন, তাহলে হাতে মোটা টাকার অর্ডার আসবে। অনলাইনে সঠিকভাবে প্রচার আর আকর্ষণীয় প্যাকেজিংই এক্ষেত্রে সাফল্যের চাবিকাঠি।