হাইলাইটস
- কিষাণ ক্রেডিট কার্ড ৩ বছর পর্যন্ত বৈধ
- ফসল কাটার মরশুম শেষ হয়ে গেলে ঋণ পরিশোধ করা হয়
- বিমা কভারেজ পাওয়া যায়
কিষাণ ক্রেডিট কার্ড (Kisan Credit Card) প্রকল্প একটি সরকারি উদ্যোগ। ১৯৯৮ সালে ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ফর এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট (NABARD) চালু করেছিল কিষাণ ক্রেডিট কার্ড। কিষাণ ক্রেডিট কার্ড কৃষকদের স্বল্পমেয়াদে ঋণ (Loan) দেয়। কৃষকরা সহজেই ঋণ নিয়ে কৃষি উপকরণ যেমন বীজ, সার, কীটনাশক কিনতে পারবেন। এছাডা়ও কৃষি যন্ত্রপাতি কেনা এবং অন্যান্য খরচ কভার করার জন্যও ঋণ পাওয়া যায়।
কিষাণ ক্রেডিট কার্ড ৩ বছর পর্যন্ত বৈধ এবং ফসল কাটার মরশুম শেষ হয়ে গেলে ঋণ পরিশোধ করা হয়। KCC-তে, ১.৬০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণের জন্য জামানত প্রয়োজন হয় না। স্থায়ী অক্ষমতা বা মৃত্যুর ক্ষেত্রে KCC স্কিম হোল্ডারদের জন্য ৫০ হাজার টাকা বিমা কভারেজ পাওয়া যায়। অন্যান্য ঝুঁকির ক্ষেত্রে ২৫ হাজার টাকার কভার দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:Potato Price In West Bengal Today: আজ নতুন আলুর দাম কত, বাংলার কোথায় কত দামে বিক্রি হচ্ছে? জানুন
কেসিসি স্কিমের অন্যতম প্রধান সুবিধা হল কৃষকরা অন্য ঋণের সুদের হার থেকে রেহাই পান৷ কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের অধীনে কৃষকরা বার্ষিক ৭ শতাংশ হারে ঋণ পেয়ে থাকেন। কৃষকরা যদি সময়মতো ঋণ পরিশোধ করলে ৩ শতাংশ ছাড় পাবেন। অর্থাৎ, কার্যত মাত্র ৪ শতাংশ হারে ঋণ পাবেন কৃষকরা। তাহলে KCC-এর সুদের হার গড়ে ৪ শতাংশ হয়। যে ফসলের জন্য ঋণ দেওয়া হয়েছিল সেই ফসল কাটার সময়ের উপর নির্ভর করে ঋণ পরিশোধের সময়কালও ঠিক হয়।
কিষাণ ক্রেডিট কার্ড: যে ব্যাঙ্কগুলি KCC স্কিম অফার করে
এমন অনেক ব্যাঙ্ক আছে যারা কিষাণ ক্রেডিট কার্ড স্কিমগুলি অফার করে। যেমন-স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই), এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, এবং সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ইউকো ব্যাঙ্ক।
কেসিসি ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা
- ঋণগ্রহীতার বয়স সর্বনিম্ন ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ ৭৫ বছর হতে হবে
- কৃষকের নিজস্ব জমি থাকতে হবে
- গোষ্ঠীঋণও পাওয়া যায়
- ভাগচাষী, ভাড়াটিয়া কৃষক বা মৌখিক ঠিকা চাষিরাও KCC এর মাধ্যমে ঋণ পাওয়ার জন্য যোগ্য।
- স্বনির্ভর গোষ্ঠী (SHG) বা যৌথ দায়বদ্ধতা গোষ্ঠীও (JLG) ঋণ পাবে
- শস্য উৎপাদন বা মৎস্যজীবীদের মতো অ-কৃষি কর্মকাণ্ডের মতো পশুপালনের মতো কাজে জড়িত কৃষক
কেসিসি লোন স্কিম: প্রয়োজনীয় নথি:
- আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার আইডি, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি।
- ঠিকানার প্রমাণ নথির জেরক্স, যেমন আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার আইডি এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স।
- জমির দলিল
- আবেদনকারীর একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- অন্যান্য নথি যেমন ইস্যুকারী ব্যাঙ্কের অনুরোধ অনুযায়ী সিরিউরিটি PDC।
কীভাবে অনলাইনে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করবেন
- আপনি যে ব্যাঙ্কের কিষাণ ক্রেডিট কার্ড স্কিমের জন্য আবেদন করতে চান তার ওয়েবসাইটে যান।
- এখন, কিষান ক্রেডিট কার্ডে ক্লিক করুন।
- 'আবেদন' অবশনে ক্লিক করলে, ওয়েবসাইটটি আপনাকে আলাদা পেজে নিয়ে যাবে।
- প্রয়োজনীয় বিবরণ সহ ফর্মটি পূরণ করুন এবং 'সাবমিট' এ ক্লিক করুন।
- আবেদনের রেফারেন্স নম্বর পাঠানো হবে।
- আপনি যোগ্য হলে, ব্যাঙ্ক কয়েকদিনের মধ্যে পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে।