Kisan Credit Card: কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে লক্ষ লক্ষ টাকার লোন পাবেন, কিন্তু কত সুদ দিতে হবে?

এর আগে ক্রেডিট কার্ডের অধীনে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যেত। এখন তা আরও ২ লক্ষ টাকা বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। কিন্তু আপনি কি জানেন কৃষকদের কত সুদ দিতে হবে? আসুন আমরা আপনাকে বলি কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে সুদের হার কত।

Advertisement
কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে লক্ষ লক্ষ টাকার লোন পাবেন, কিন্তু কত সুদ দিতে হবে?কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে লক্ষ লক্ষ টাকার লোন পাবেন, কিন্তু কত সুদ দিতে হবে?
হাইলাইটস
  • ১৯৯৮ সালে সরকার কিষাণ ক্রেডিট কার্ড চালু করেছিল
  • কৃষকরা কৃষি সংক্রান্ত সকল গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ঋণ নিতে পারেন

কিষাণ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে সারা দেশে কোটি কোটি কৃষক লক্ষ লক্ষ টাকার ঋণ নেন। কিন্তু এর জন্য তাঁদের কত সুদ দিতে হবে? আসুন আমরা বলি। শনিবার অর্থাৎ ১ ফেব্রুয়ারি দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেন। অর্থমন্ত্রী সবার জন্য কিছু সুবিধা ঘোষণা করেছেন। সরকারও এই বাজেটে কৃষকদের অনেক উপহার দিয়েছে। কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের আওতায় ঋণের সীমা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী।

এর আগে ক্রেডিট কার্ডের অধীনে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যেত। এখন তা আরও ২ লক্ষ টাকা বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। কিন্তু আপনি কি জানেন কৃষকদের কত সুদ দিতে হবে? আসুন আমরা আপনাকে বলি কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে সুদের হার কত।

প্রকৃতপক্ষে, এর আগে যিনি কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে ঋণ নিয়েছেন তাকে ৭ শতাংশ সুদের হারে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হত। এই ঋণ দেওয়া হয় ৫ বছরের জন্য। কিন্তু একজন কৃষক যদি এই ঋণ সময়মতো পরিশোধ করেন। তখন তিনি সরকারের কাছ থেকে সুদের ওপর ভর্তুকিও পান। যেসব কৃষক সময়মতো ঋণ পরিশোধ করেন তাঁরা সরকারের কাছ থেকে সুদের হারে ৩ শতাংশ ভর্তুকি পান। তার মানে তাঁকে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে নেওয়া ঋণ ৭ শতাংশ সুদের হারের পরিবর্তে মাত্র ৪ শতাংশ সুদের হারে পরিশোধ করতে হবে।

১৯৯৮ সালে সরকার কিষাণ ক্রেডিট কার্ড চালু করেছিল। কৃষকরা কৃষি সংক্রান্ত সকল গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ঋণ নিতে পারেন। এর আওতায় কৃষকরা কৃষি যন্ত্রপাতি, বীজ, সার ও কীটনাশক কিনতে ঋণ পান। যদি আমরা বর্তমানের কথা বলি, তাহলে দেশের ৭.৫ কোটিরও বেশি কৃষক এই কিষাণ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করছেন। কিষান ক্রেডিট কার্ড তৈরির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। এর পাশাপাশি, আপনি আপনার নিকটস্থ ব্যাঙ্কে গিয়েও এর জন্য আবেদন করতে পারেন।

Advertisement

কেসিসি ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা

বয়স সর্বনিম্ন ১৮ বছর এবং সর্বোচ্চ ৭৫ বছর হতে হবে। কৃষকের নিজস্ব জমি থাকতে হবে। গোষ্ঠীঋণও পাওয়া যায় কেসিসি-তে। ভাগচাষী, ভাড়াটিয়া কৃষক বা মৌখিক ঠিকা চাষিরাও KCC এর মাধ্যমে ঋণ পাওয়ার জন্য যোগ্য। স্বনির্ভর গোষ্ঠী (SHG) বা যৌথ দায়বদ্ধতা গোষ্ঠীও (JLG) ঋণ পাবে কেসিসি-র মাধ্যমে। শস্য উৎপাদন বা মৎস্যজীবীদের মতো অ-কৃষি কর্মকাণ্ডের মতো পশুপালনের মতো কাজে জড়িত কৃষকরাও লোন পাবেন।

প্রয়োজনীয় নথি

আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার আইডি, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি। ঠিকানার প্রমাণ নথির জেরক্স, যেমন আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার আইডি এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স। জমির দলিল আবেদনকারীর একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। অন্যান্য নথি যেমন-ইস্যুকারী ব্যাঙ্কের অনুরোধ অনুযায়ী সিরিউরিটি PDC।

আপনি যে ব্যাঙ্কের কিষাণ ক্রেডিট কার্ড স্কিমের জন্য আবেদন করতে চান তার ওয়েবসাইটে যান। এখন, কিষান ক্রেডিট কার্ডে ক্লিক করুন। 'আবেদন' অবশনে ক্লিক করলে, ওয়েবসাইটটি আপনাকে আলাদা পেজে নিয়ে যাবে। প্রয়োজনীয় বিবরণ সহ ফর্মটি পূরণ করুন এবং 'সাবমিট' এ ক্লিক করুন। আবেদনের রেফারেন্স নম্বর পাঠানো হবে। আপনি যোগ্য হলে, ব্যাঙ্ক কয়েকদিনের মধ্যে পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে।

POST A COMMENT
Advertisement