Lakshmir Bhandar: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা আরও বাড়ছে? কত হতে পারে? মমতার মন্তব্যে জোরাল ইঙ্গিত

Lakshmir Bhandar: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পকে আক্ষরিক অর্থেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাস্টারস্ট্রোক ছিল ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে। অচিরেই এই প্রকল্প সাড়া ফেলে দেয় গোটা রাজ্যে। এমনকী মমতার এই স্কিমের আদলে এখন দেশের অন্যান্য রাজ্যেও মহিলাদের টাকা দেওয়ার প্রকল্প চালু করেছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির সরকার।

Advertisement
 লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা আরও বাড়ছে? কত হতে পারে? মমতার মন্তব্যে জোরাল ইঙ্গিতলক্ষ্মীর ভাণ্ডার -- প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বাজেট
  • লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?
  • কীভাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদন করতে হয়?

Laxmir Bhandar: পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের  লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প বেশ জনপ্রিয়। রাজ্যের প্রতিটি মহিলা এই প্রকল্পের সুবিধা পান। ২০২১ সালে শুরু হয়েছিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। তখন প্রতিমাসে রাজ্যের মহিলাদের ৫০০ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা।

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বাজেট (West Bengal Budget 2025)

গত বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বৃদ্ধি ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। ১ হাজার টাকা করে প্রতিমাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেওয়া হয়। তফসিলি জাতি ও উপজাতির মহিলারা পান ১২০০ টাকা করে। ১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বাজেট। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট মমতা সরকারের।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?

মনে করা হচ্ছে, এই বাজেটেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করা হতে পারে। অনেকের আশা, ১ হাজার টাকা থেকে বেড়ে দেড় হাজার টাকা বা ২ হাজার টাকা হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে তফসিলি জাতি ও উপজাতির মহিলাদেরও বাড়বে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বাড়ার ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মন্তব্যে মিলছে। গত মঙ্গলবার মালদার সভায় মমতা বলেন, 'আপনারা জানেন, আমি যেটা বলি সেটা করি। সিদ্ধান্ত হয়েছে, যিনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পান, তিনি সারাজীবন পাবেন। এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আমার মা–বোনেদের। উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আরও বাড়বে।'

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার -- ফাইল ছবি
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার -- ফাইল ছবি

গত বছর অর্থাত্‍ ২০২৪ সালের বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। আগে দেওয়া হত প্রতি মাসে ৫০০ টাকা, ২০২৪ সাল থেকে তা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার টাকা। তফসিলি জাতি ও উপজাতির মহিলারা পান প্রতিমাসে ১২০০ টাকা। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পকে আক্ষরিক অর্থেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাস্টারস্ট্রোক ছিল ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে। অচিরেই এই প্রকল্প সাড়া ফেলে দেয় গোটা রাজ্যে। এমনকী মমতার এই স্কিমের আদলে এখন দেশের অন্যান্য রাজ্যেও মহিলাদের টাকা দেওয়ার প্রকল্প চালু করেছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির সরকার। এমনকী রাজনৈতিক দলগুলি ভোটের ইশতেহারেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। 

Advertisement

কীভাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদন করতে হয়?

রাজ্যের সব মহিলাই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাওয়ার যোগ্য। ইতিমধ্যেই দুয়ারে সরকার শুরু হয়ে গিয়েছে। গত ২৪ জানুয়ারি দুরায়ে সরকার ক্যাম্প শুরু হয়ে গিয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদনের ফর্ম দুয়ারে সরকার-এর ক্যাম্পেই মিলবে। এছাড়াও অনলাইনেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন জানাতে পারেন। এই প্রকল্প শুধুমাত্র মহিলাদের জন্যই। অ্যাকাউন্টধারীর নাম, অ্যাকাউন্ট নম্বর, ব্যাঙ্কের ঠিকানা, IFSC কোড এবং MICR কোড সহ আবেদনকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ, ব্যাঙ্ক পাসবুকের প্রথম পেজের জেরক্স। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি ব্যক্তিগত হতে হবে। আবেদনকারীর সাম্প্রতিক রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি। মনে রাখবেন, আরও অন্যান্য নথিও লাগতে পারে।

কারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন না?

যে সব মহিলারা সরকারি চাকরি করেন, অর্থাত্‍ আবেদনকারী কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকার, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, সরকারী উদ্যোগ, পঞ্চায়েতি রাজ প্রতিষ্ঠান, পুরনিগম /পুরসভা, স্থানীয় সংস্থা এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী চাকরি করেন, অথবা সরকারি পেনশনের অধিকারী, তাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাবেন না।
 

POST A COMMENT
Advertisement