চাকরি চলে গেলে ইএমআই দেওয়ার টিপসএখন দেশের অধিকাংশ মানুষই বেসরকারি ক্ষেত্রে চাকরি করেন। আর প্রাইভেট জবে নেই কোনও সুরক্ষা। যখন-তখন চাকরি চলে যেতে পারে। আর এমন পরিস্থিতিতে ইএমআই দেওয়ার কথা মাথায় আসলেই দুশ্চিন্তায় মাথার ঘুম উড়ে যায়।
যদিও এই পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তার বদলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ার দিয়েছেন পরামর্শ। এই পরামর্শগুলি মেনে চললে খেলা ঘুরে যাবে। আপনি অনায়াসে ইএমআই দিয়ে দিতে পারবেন।
ইমার্জেন্সি ফান্ডের দিকে তাকান
সেক্ষেত্রে সবার প্রথমেই নিজের ইমার্জেন্সি ফান্ডের দিকে তাকান। এই ফান্ড ঠিক ঠাক থাকলে অনায়াসে ইএমআই দিয়ে দিতে পারবেন। পাশাপাশি চালিয়ে নিতে পারবেন দৈনন্দিন খরচা। আর এটাই আপনাকে বিপদের সময় অর্থনৈতিকভাবে সামলে নিতে সাহায্য করবে। তাই ইমার্জেন্সি ফান্ড বানাতেই হবে।
ব্যাঙ্ককে জানান
অনেকেই নিজের চাকরি চলে যাওয়ার সমস্যার কথা ব্যাঙ্ককে জানান না। আর এই ভুলটা করেন বলেই বিপদ বাড়ে। ব্যাঙ্ক ইএমআই পজ করে না। তাই সবার প্রথমে ব্যাঙ্ককে সমস্যার কথা জানান। তারা আপনার সমস্যার কথা মাথায় রেখে ইএমআই পজ করে দেবে। ফলে কয়েকটা মাস ইএমআই দিতে হবে না।
এখানে একটা কথা বলে রাখি, চেষ্টা করুন লোনের সময় না বাড়ানোর। এই ভুলটা করলে অনেকটা বেশি টাকা ইন্টারেস্ট দিতে হবে।
এসআইপি ভাঙতে পারেন
অনেকেই এসআইপি-তে বিপদের সময়ও হাত দিতে চান না। আর এটাই হল বড় ভুল। তাই এমনটা করা চলবে না। তার বদলে এসআইপি ভেঙে নিন। তাহলেই হাতে আসবে অনেকটা টাকা। সেই মতো ইএমআই দিয়ে দিতে পারবেন। নিজের দৈনন্দিন জীবনও চালিয়ে নিতে পারবেন। তাই চিন্তা করার সত্যিই কিছু নেই।
খরচা কমান
এই সময় আপনার চাকরি নেই। তাই চেষ্টা করতে হবে খরচা এক ধাক্কায় অনেকটাই কমিয়ে ফেলার। তাতেই সমস্যার সহজ সমাধান করা সম্ভব হবে। দেখবেন হাতে থাকবে টাকা। তা দিয়েই ইএমআই দিয়ে দিতে পারবেন। পাশাপাশি নিজের জীবনও কেটে যাবে।
পরিবারের কাছে সাহায্য চান
অনেকেই চাকরি গেলে চুপ মেরে যান। কোনওভাবেই বাড়ির লোককে জানাতে চান না। আর সেটাই বড় ভুল। নিজের উপর চাপ বাড়তে থাকে। তাই এমন পরিস্থিতিতে নিজের থেকে চাপ কমাতে হবে। চেষ্টা করতে হবে পরিবার এবং বন্ধুদের সকলকে বিষয়টা বলার। প্রয়োজনে তাদের থেকে সাহায্য চান। ব্যাস, তাহলেই পরিস্থিতি সামলে নিতে পারবেন।