রান্নার গ্যাসের গ্রাহকদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই তথ্য সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে গ্রাহকদের। এদিকে, এই বায়োমেট্রিক তথ্য যাচাই করাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন গ্রাহকরা। গ্যাসের অফিসে তাঁদের লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। কাজ করাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় চলে যাচ্ছে। এই সমস্যা দূর করার রাস্তা বের হল। এ বার আর গ্যাসের অফিসে গিয়ে লাইনে দাঁড়াতে হবে না। গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়ার সময় গ্রাহকদের বাড়ি থেকেই বায়োমেট্রিক যাচাই করবেন ডেলিভারি বয়রা। তাঁদের কাছে থাকবে মেশিন। জানা যাচ্ছে, ৭০-৮০ শতাংশ ডেলিভারি বয়ের কাছে থাকবে এই যন্ত্র।
কেউ তথ্য যাচাই না করলে কি গ্যাসের ভর্তুকি বন্ধ হয়ে যাবে
একটি তেল বিপণন সংস্থার আধিকারিক এই বিষয়ে জানিয়েছেন যে বায়োমেট্রিক তথ্য যাচাই না করলে ভর্তুকি বন্ধ করা হবে বা গ্যাস সংযোগ বন্ধ করা হবে এমন কোনও তথ্য নেই। ভর্তুকিযুক্ত এলপিজি ব্যবহার করে এমন গ্রাহকদের দেওয়া আধারের তথ্য শুধুমাত্র যাচাই করা হচ্ছে। গ্রাহকদের সহযোগিতা করার জন্য এবং তাঁদের বায়োমেট্রিক যাচাই করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
৩১ ডিসেম্বরের পর কী হবে?
এর আগে তেল সংস্থাগুলি দাবি করেছিল ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই বায়োমেট্রিক সংগ্রহের কাজ শেষ করতে হবে। যদিও তেল সংস্থার ওই আধিকারিক এ রকম কোনও কথা মানতে চাননি। ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, 'এই ধরনের ভয়ের কোনও কারণ নেই। এই বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের জন্য এমন কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। তবে আমাদের এটি একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। সুতরাং, আমাদের ফোকাস প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা (PMUY) এর সুবিধাভোগীদের উপর। এর পরে, অন্যান্য ভর্তুকি পাওয়া গ্রাহকদের তথ্য যাচাই করা হবে।'
বাংলায় প্রায় ২.৬ রান্নার গ্যাসের গ্রাহক রয়েছেন। তাঁদের একটি বড় অংশ এখনও ভর্তুকি নেন। এত সংখ্যক গ্রাহকের বায়োমেট্রিক তথ্য পুনরায় যাচাই করা কঠিন কাজ। তবে, এলপিজি সিলিন্ডার ডিস্ট্রিবিউটররা যদি পর্যায়ক্রমে এই প্রতিটি বাড়িতে যান। যদি তারা বায়োমেট্রিক তথ্য যাচাই করতে পারে তবে কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করা যেতে পারে। ডেলিভারি বয়দের মোবাইলে থাকবে একটি বিশেষ অ্যাপ, সেই অ্যাপেই গ্রাহকের আঙুলের ছাপ বা মুখের ছবি স্ক্যান হবে। এরপর সেই তথ্য তোলা হবে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে। এছাড়া কোনও গ্রাহক চাইলে গ্যাস ডিলার বা ডিস্ট্রিবিউটরের অফিসে গিয়েও যাচাই করাতে পারেন বায়োমেট্রিক তথ্য।