World Most Expensive Mango: বাঙালি মাত্রেই হিমসাগর-ল্যাংড়ার ‘নাড়ি-লক্ষত্রের’ খবর জানেন। তবে এই আম তার দামের কারণেই আম বাঙালির পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিতে পারেনি। একই কারণে দেশজুড়ে এই আমটি তেমন একটা প্রচার পায়নি কখনও। ইদানীং, পরিচিতি বাড়ছে বিশেষ এই আমটির। এটি আমের দুনিয়ায় ‘অ্যান্টিক’!
ফলের রাজা আম! আমের উৎকৃষ্ট গুণাগুণ, অনন্য জাত এবং চমৎকার স্বাদ এটিকে অন্যান্য ফলের থেকে আলাদা করে তুলেছে। হিমসাগর-ল্যাংড়া-আলফোনসো আমের চাহিদা ভারতে সবচেয়ে বেশি। তবে জাপানি বংশোদ্ভূত মিয়াজাকি শুধুমাত্র স্বাদের কারণেই নয়, সবচেয়ে দামি হওয়ার কারণেও সারা বিশ্বে বিখ্যাত হয়ে উঠছে।
জানা গিয়েছে, এই আমকে মিয়াজাকি বলা হয় কারণ এটি জাপানের মিয়াজাকি শহরের একটি ফল। এটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম, যার গঠন অনন্য এবং এর রং গাঢ় লাল বা বেগুনি। এই আমের আকার বিশাল, অনেকটা ‘ডাইনোসরের ডিম’-এর মতো। এর বৈজ্ঞানিক নাম Taiyo-no-tomago, যা Eggs of Sunshine নামেও পরিচিত।
আরও পড়ুন: ৩০০ বছর পেরিয়ে বাংলার বাগানে এখনও ফলছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম!
মিয়াজাকি জাতের আমের একেকটার ওজন প্রায় ৩৫০ গ্রাম, যা বাজারে ২১,০০০ টাকা পিস হিসাবে বিক্রি হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি মিয়াজাকি আমের দাম কেজিতে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। আমেরিকা ও ইউরোপের মতো বড় বড় দেশে মিয়াজাকি আমের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় ভারতের বাজারে এই আমের চাহিদা বা বিক্রি তেমন নেই। ভারতে জন্মানো সত্ত্বেও মিয়াজাকি আম বিদেশেই রফতানি করা হয়। মিয়াজাকি আম রফতানির আগে সঠিকভাবে মান যাচাই ও খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হয়। একাধিক পরীক্ষার পরে এই আম রফতানি ছাড়পত্র পায়।
প্রথমে আট বা নয়ের দশকের মধ্যে এই জাপানের মিয়াজাকি শহরেই জন্মাতো। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এবং বিশ্ববাজারে এর ক্রমবর্ধমান চাহিদার জেরে থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন এবং ভারতের কৃষকরাও এর চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
মিয়াজাকি আম চাষের জন্য ভালো বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি প্রবল সূর্যালোক এবং উর্বর মাটির প্রয়োজন। এপ্রিল থেকে অগাস্ট মাসে এই ফল ধরে। মিয়াজাকি আমে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পাশাপাশি বিটা-ক্যারোটিন এবং ফলিক অ্যাসিডের মতো বিশেষ উপাদান রয়েছে। এতে মাত্র ১৫% সুগার রয়েছে, যে কারণে মিয়াজাকি আম ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সারের রোগীরাও খেতে পারেন।