নিওকভচ এয়ার ভেস্টবাইক এবং স্কুটির তুলনায় গাড়ি সেফ। এই কথাটা মাঝে মধ্যেই অনেকে বলেন। আর এমনটা বলার পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে। বিশেষত, গাড়িতে মেলে এয়ারব্যাগ সিকিউরিটি। কোনও দুর্ঘটনা হলে এই এয়ারব্যাগ প্রথমেই খুলে যায়। সেটি গাড়ির সামনে বসে থাকা যাত্রী ও চালককে রক্ষা করে। বেঁচে যায় প্রাণ। তবে চিন্তা নেই, এই সেফটি ফিচার এখন বাইক চালকরাও পাবেন। কারণ, বর্তমানে বাইক চালকরা চাইলেই এয়ারব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। সেই এয়ারব্যাগ লঞ্চ হয়ে গিয়েছে ভারতের বাজারে।
এই নতুন এয়ারব্যাগটির নাম হল নিওকভচ এয়ার ভেস্ট। এটি ইন্টেলিজেন্ট ওয়েরেবল এয়ারব্যাগ সিস্টেম। এই সিকিউরিটি সিস্টেমের মাধ্যমেই দুর্ঘটনার সময় প্রাণ বাঁচবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
নিওকভচ এয়ার ভেস্ট কী?
এটি একটি দারুণ সেফটি টুলস। টু-হুইলার চালকরা এটি ব্যবহার করতে পারেন। এতে রয়েছে অত্যাধুনিক টেকনোলজি। এই কারণে দুর্ঘটনার সময় মাত্র ১০০ মিলিসেকেন্ডের মধ্যে খুলে যেতে পারে ভেস্ট। তাতে রাইডারের শরীরে বড় আঘাত লাগার আশঙ্কা কমে। বেঁচে যায় বুক, মেরুদণ্ড থেকে শুরু করে ঘাড়।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সারা ভারতে প্রতি বছর বহু মানুষ প্রাণ হারায় বাইক দুর্ঘটনায়। ২০২৩ সালে ভারতে ৭৯,৫৩৩ মানুষ দুই-চাকার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিল।
আর এমন পরিস্থিতি থেকেই বাঁচাতে পারে নিওকভচ ভেস্ট। এটি রাইডারকে দুর্ঘটনার সময় সুরক্ষা দেবে।
এটা জ্যাকেট হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে
অনেকেই জানতে চান, বাইকে এয়ারব্যাগ ব্যবহার করা হবে কীভাবে? তার উত্তরে বলি, এটি একবারে জ্যাকেটের মতো করে ব্যবহার করা যাবে। এর কোনও চার্জের প্রয়োজন পড়ে না। এমনকী এতে নেই কোনও ব্যাটারি। এটা একটি মেকানিক্যাল ট্রিগার সিস্টেমের মাধ্যমে কাজ করে। যার ফলে দুর্ঘটনার সময় সহজেই খুলে যায় এয়ারব্যাগ। বাঁচে প্রাণ।
সবথেকে ভাল বিষয় হল, এটি একবার ব্যবহার করে ফেলে দিতে হবে না। বরং এটি একবার খুলে গেলেও আবার ব্যবহার করা যাবে। যার ফলে এটির ব্যবহারের খরচ কম।
এটি একটি ২৮ লিটারের এয়ারব্যাগ। তবে এর ওজন খুবই কম। এছাড়া এটি ভারতীয় এবং আন্তর্জাতিক সেফটি স্ট্যান্ডার্ড মেনে তৈরি করা হয়েছে।
দাম কত?
এই প্রোডাক্টের দাম শুরু হচ্ছে ৩২৪০০ টাকা থেকে। তবে এটির প্রো ভার্সনের দাম হল ৪০,৮০০ টাকা। এছাড়া আরও একটি ভার্সনের দাম রয়েছে ৩৬০০০ টাকা। তাই আপনি নিজের পছন্দ মতো যে কোনও একটি এয়ারব্যাগ কিনে নিতেই পারেন। তাতেই প্রাণ বেঁচে যাবে।