অনলাইনে SIR ফর্ম ফিলআপ কবে থেকে?অনেকেই কর্মসূত্রে নিজের বাড়িতে থাকতে পারেন না। এই সব মানুষকে SIR-এ নাম রাখার জন্য করতে হবে অনলাইন ফর্ম ফিলআপ। যদিও আজ থেকে সেই সুবিধা মিলবে না। অনলাইনে ফর্ম ফিলআপ করতে চাইলে আরও ২ দিন অপেক্ষা করতে হবে।
যতদূর খবর, কমিশনের ওয়েবসাইটে কিছু কাজ চলছে। তাই দুই দিন পর থেকেই অনলাইনে ফর্ম ফিলআপ করা যাবে।
প্রসঙ্গত, বাংলায় শুরু হয়ে গিয়েছে SIR বা ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন। আজ থেকে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন BLO-রা। তাঁরা ভোটারদের হাতে তুলে দিচ্ছেন এনুমারেশন ফর্ম। সেই ফর্ম ফিলআপ করে আবার জমা দিতে হবে। তাহলেই ভোটার তালিকায় থাকবে নাম। যদিও যাঁরা কর্মসূত্রে বাড়িতে থাকেন না, তাঁদের কথাও মাথায় রেখেছে কমিশন। তাঁদের জন্য অনলাইনে এনুমারেশন ফর্ম ফিলআপ করার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এই ফর্ম ফিলআপ করেই ভোটার তালিকায় নাম রাখা যাবে।
অনলাইনে কোথায় করবেন ফর্ম ফিলআপ?
ECINET নামক অ্যাপটি প্লে স্টোর এবং অ্যাপল স্টোর থেকে নামাতে হবে। এই অ্যাপের মাধ্যমেই করা যাবে অনলাইন ফর্ম ফিমআপ। সেখানেই তা জমা করা যাবে। তার মাধ্যমেই নাম থাকবে ভোটার লিস্টে।
কীভাবে হবে ফিলআপ?
অনেকেই ভাবছেন বোধহয় অনলাইনে ফর্ম ডাউনলোড করে তারপর ফর্ম ফিলআপ করতে হবে। যদিও বিষয়টা একবারেই তেমন নয়। এক্ষেত্রে অনলাইনেই হবে গোটা প্রক্রিয়া। ওখানেই অপশন বেছে ফর্ম ভরতে হবে। কোনও ফর্ম ডাউনলোড করার প্রয়োজন নেই।
SIR-এ কাদের নথি লাগবে, কাদের লাগবে না?
২০০২ ভোটার লিস্টে নাম থাকে, তাহলে কোনও নথি দেখানোর প্রয়োজন নেই। সেই লিস্টের প্রতিলিপি দেখাতে হবে। নাম থাকবে ভোটার লিস্টে।
আর নিজের নাম ছাড়াও যদি বাবা-মায়ের নাম ২০০২ ভোটার লিস্টে থাকে, তাহলেও বার্থ সার্টিফিকেট ছাড়া অন্য কোনও নথি জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলেই জানাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
যদিও নিজের বা অভিভাবকের নাম ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে যদি না থাকে, তাহলে দিতে হবে নথি। এক্ষেত্রে কমিশনের বলে দেওয়া ১১টি নথির মধ্যে যে কোনও একটি দেখাতে পারেন। এছাড়া জমা দেওয়া যেতে পারে আধার কার্ডও।
তবে কোনও নথি যদি না থাকে, সেক্ষেত্রে ইলেকশন কমিশন আপনাকে ডাকবে। সেখানে গিয়ে নিজের কাছে থাকা ডকুমেন্ট দেখান। তাহলেও নাম থাকবে ভোটার লিস্টে।