
2024 Pulsar 150 লঞ্চ করল Bajaj Auto। নতুন পালসারের দাম শুরু হচ্ছে 1.13 লক্ষ টাকা(এক্স-শোরুম) থেকে। 2024-এর ভার্সানে Pulsar 150-তে নতুন গ্রাফিক্স এবং ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি-সহ একটি ডিজিটাল ডিসপ্লে অ্যাড করা হয়েছে। স্মার্টফোনের মতো ডিভাইস চার্জ করার জন্য একটি ইউএসবি চার্জিং পোর্টও যোগ করা হয়েছে। প্রায় দুই দশক প্রাচীন পালসারকেও জেন জেড-এর জন্য সাজিয়ে তুলছে বাজাজ।
ডিজাইন
পালসার ১৫০-র এমনিতেই একটা স্টেডি ফ্যানবেস আছে। সেটা নিয়ে বেশি কাটাছেঁড়া করতে চায় না বাজাজ। তাই লুকসে গত কয়েক বছরে তেমন কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। প্রতি আপডেটের মতেই এবারেও নতুন গ্রাফিক্স যোগ করা হয়েছে। হেডলাইট কাউল, ফুয়েল ট্যাঙ্ক, ফুয়েল ট্যাঙ্ক এক্সটেনশনের পাশাপাশি বাইকের টেল সেকশনেও সেই নতুন গ্রাফিক্স অ্যাড করা হয়েছে।
সাইড প্যানেলে আবার একটি নতুন কার্বন ফাইবার স্টিকারও দেওয়া হয়েছে। এই গ্রাফিক্সগুলির কারণে পালসার 150-র লুকস কিছুটা হলেও পাল্টেছে। তবে মূল যে ডিজাইন, তাতে কোনও পরিবর্তন আনা হয়নি। তাই যত-ই স্টিকারিং করা হোক, এটা অস্বীকার করার কোনও জায়গাই নেই যে বাইকটা গত বেশ কিছু বছর ধরে একইরকম দেখতে রয়ে গিয়েছে। আর হয়তো, সেটাই চান পালসারের টার্গেট ক্রেতারা।
ইঞ্জিন
Bajaj Pulsar 150-তে একটি 149.5cc, এয়ার-কুলড, সিঙ্গেল-সিলিন্ডার ইঞ্জিন আছে। এটি 8,500rpm-এ 13.8bhp এবং 6,500rpm-এ 13.25Nm পাওয়ার জেনারেট করে। ফাইভ স্পিড গিয়ারবক্স রয়েছে। বাইকে টিউবলেস টায়ার সহ ১৭ ইঞ্চির চাকা রয়েছে।
মধ্যবিত্তের পছন্দের বাইক
বছর আসে-যায়। পালসার 150 যেন আজও মধ্যবিত্তের রাস্তার রাজা। বিশেষত ৯০-এর দশকের বহু যুবকই, তাঁদের কিশোর বয়সে এই পালসারেরই প্রেমে পড়েছিলেন। হয় তো পাড়ার দাদা, বা কোনও কুল কাকার পালসার দেখে ভেবেছিলেন, 'একদিন আমিও একটা কিনব।'
হয় তো সেই স্বপ্নপূরণই করে চলেছেন সেদিনের সেই কিশোররা। আর সত্যি বলতে, রোজের কমিউটার, ভাল পিকআপ আর টাইমলেস স্টাইল- সব কিছুই পালসারের পক্ষে। হয়তো সেই কারণেই বছরের পর বছর ধরে একই ডিজাইনেও পালসার 150-র রমরমার বাজার। আপনার কী মনে হয়?