ভারতীয় শেয়ার বাজার বর্তমানে চাপের মধ্যে থাকলেও আগামী মাসগুলোতে তা নতুন রেকর্ড গড়বে বলে আশাবাদী গবেষণা সংস্থা এইচএসবিসি। তারা ভারতীয় বাজারকে 'নিরপেক্ষ' থেকে 'ওভারওয়েট' বিভাগে তুলে এনেছে। এর মানে, ভারতীয় শেয়ারকে এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি অনুকূল মনে করছে সংস্থাটি।
এইচএসবিসির পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ সেনসেক্স পৌঁছতে পারে ৯৪,০০০ পয়েন্টে। অর্থাৎ বর্তমান স্তর থেকে প্রায় ১৩% বেশি উত্থানের সম্ভাবনা রয়েছে।
কেন বাড়বে শেয়ার বাজার?
১. উন্নত মূল্যায়ন:
লার্জ-ক্যাপ ও স্মল-ক্যাপ শেয়ারে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে ভারতীয় স্টক ন্যায্য দামে পাওয়া যাচ্ছে, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াচ্ছে।
২. সহায়ক সরকারি নীতি:
জিএসটি এবং অভ্যন্তরীণ ভোগব্যয় বাড়াতে সরকার যে পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা বাজারকে আরও শক্তিশালী করতে পারে। সংস্কার ও অবকাঠামো বিনিয়োগও বড় ভূমিকা রাখবে।
৩. দেশীয় বিনিয়োগকারীদের আস্থা:
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিক্রি সত্ত্বেও দেশের বিনিয়োগকারীরা নিয়মিত বাজারে অর্থ ঢালছেন। এর ফলে বাজারে স্থিতিশীলতা এসেছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও ধীরে ধীরে ভারতীয় বাজারে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন।
স্থিতিশীলতার দৃষ্টান্ত ভারত
এইচএসবিসি জানিয়েছে, কোরিয়া ও তাইওয়ানের মতো এশিয়ার অন্যান্য বাজার অস্থির থাকলেও ভারত স্থিতিশীল থেকেছে। এর পেছনে শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত, সংস্কারমুখী সরকারি নীতি ও হালকা বিদেশি তহবিল নির্ভরতা বড় ভূমিকা রেখেছে।
এশিয়ার বাজারে অবস্থান
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শেয়ার বাজার বছরে প্রায় ২০% বেড়েছে, মূলত দেশীয় খুচরো বিনিয়োগকারীদের কারণে। চিন ও হংকংকেও 'ওভারওয়েট' বিভাগে রেখেছে এইচএসবিসি। সংস্থার পূর্বাভাস, ২০২৬ সালের মধ্যে এফটিএসই চিনে ২১% এবং এফটিএসই হংকংয়ে ১৬.৪% রিটার্ন আসতে পারে।
(বিঃদ্রঃ- যেকোনও স্টকে বিনিয়োগ করার আগে, অবশ্যই আপনার আর্থিক উপদেষ্টার সাহায্য নিন।)