BLO এলে আপনি যদি বাড়িতে না থাকেন তাহলে কী হবে? রাজ্যের ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) শুরু হচ্ছে ৪ নভেম্বর অর্থাৎ আগামিকাল তথা মঙ্গলবার থেকে। সেদিন থেকেই বাড়ি বাড়ি যাওয়ার কথা বুথ লেবেল অফিসারদের। ৪ নভেম্বর,গণনা ফর্ম বা এনুমারেশন ফর্ম বিরতণ এবং সংগ্রহের কাজ শুরু হবে। এই কাজ চলবে আগামী ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ পর্যন্ত। এই গণনা পর্বে অর্থাৎ এনুমারেশন ফেজ- এ (৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত) গণনা ফর্ম পূরণ করতে হবে। আর এই এনুমারেশন ফর্ম পূরণের পর তা সই করে জমা দিতে হবে। এই ফর্ম জমা করলে তারপরেই নাম উঠবে খসড়া ভোটার তালিকায়।
এনুমারেশন ফর্ম হাতে পাওয়ার পর তা যথাযথ তথ্য দিয়ে ফিল আপ করতে হবে। সঙ্গে দাখিল করতে হবে প্রয়োজনীয় নথি। তবে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েই যাচ্ছে। বিশেষ করে কর্মসূত্রে বাইরে থাকলে বা বাড়িতে না থাকাকালীন বিএলও এলে সমাধান কী হবে? চলুন এই পরিস্থিতিতে কী করতে হবে, পুরো প্রক্রিয়া জেনে নেওয়া যাক। কমিশন স্পষ্ট করে দিয়েছে, বিএলও বা বুথ লেভেল অফিসাররা যখন বাড়িতে ফর্ম দেওয়া বা সংগ্রহের জন্য আসবেন তখন তাড়াহুড়ো করে নথি দেখানোর প্রয়োজন নেই। কমিশন জানাচ্ছে, এনুমারেশন কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে। তার পর সেই সংশ্লিষ্ট নোটিস জারি হবে। সেই নোটিশ জারির পর এনুমারেশন ফর্মে প্রমাণ হিসেবে ১১টি নথির মধ্যে যেকোনও একটি উল্লেখ করতে হবে। সেটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেখাতে হবে। কাজে এটা স্পষ্ট যে এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়ার সময় নয়, খসড়া প্রকাশের পর নোটিশ জারি হবে, তার ভিত্তিতেই নথি যাচাই পর্ব শুরু হবে। আগামী ৪ নভেম্বর থেকে এনুমারেশন ফর্ম দেওয়ার কাজ শুরু হবে, চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই সময়ে মধ্যে বিএলও- রা একাধিকবার ভোটারদের বাড়িতে যাবেন।
কোনও ভোটার বাইরে থাকলে, ৪ নভেম্বরের পর থেকে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে সরাসরি পশ্চিমবঙ্গ সিইও ওয়েরসাইটে গিয়ে তাঁর এনুমারেশন ফর্ম অনলাইনে পূরণ করতে পারবেন। কোনও ব্যক্তি কাজের জন্য বাইরে থাকলে তাঁর হয়ে পরিবারের অন্য সদস্য স্বাক্ষর করে জমা দিতে পারবেন। তবে স্বাক্ষরকারীকে লিখে দিতে হবে আবেদনকারীর নাম এবং তাঁর সঙ্গে সর্ম্পক। এনুমারেশন ফর্ম জমা দিলেই খসড়া ভোটার তালিকায় নাম উঠবে। জমা না দিলে ভোটার তালিকায় নাম ওঠার সুযোগ নেই। যাদের ২০০২-এর ভোটার তালিকায় কোনও লিঙ্ক পাওয়া যায়নি, তাদের ইআরও বা এইআরও শুনানিতে ডাকবেন। সাতদিন সময় দেওয়া হবে। শুনানিতে সব নথি নিয়ে হাজির হতে হবে। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দাবি ও আপত্তি শোনার জন্য ৫৪ দিন সময় থাকবে। যার ভিত্তিতে শুনানি হবে।
মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজকুমার আগরওয়াল স্পষ্ট করে দিয়েছেন, অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন একটি সরকারি কাজ। এর আগেও হয়েছে। ভয়ের কিছু নেই। বিএলও’ রা যাওয়ার আগে আগাম খবর দেওয়া হবে, প্রয়োজনে এক একটি এলাকায় তিন থেকে চারবার করে যাবেন।