scorecardresearch
 

Toy Train in Darjeeling Cancel: পুজোয় টয়ট্রেন যাত্রায় অনিশ্চয়তা, ফেরত দেওয়া হতে পারে টিকিটের দাম

Toy Train Stopped Running: দার্জিলিং, বাতাসিয়ালুপ এবং ঘুমের সংযোগকারী টয় ট্রেন পরিষেবার মধ্যে ৩ টি স্টিম ইঞ্জিন ও ১ টি ডিজেল ইঞ্জিন চলে। এই ৪টি জয় রাইডই ২০ জুলাই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও হাওয়া অফিস সুত্রে ভারী বৃষ্টির যে সর্তকতা রয়েছে তাও যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে রেল।

Advertisement
পুজোয় টয়ট্রেন যাত্রায় অনিশ্চয়তা, ফেরত দেওয়া হতে পারে টিকিটের দাম পুজোয় টয়ট্রেন যাত্রায় অনিশ্চয়তা, ফেরত দেওয়া হতে পারে টিকিটের দাম
হাইলাইটস
  • দার্জিলিঙে গেলে আর টয়ট্রেনে চড়া হবে না
  • আবহাওয়া খারাপ থাকায় বন্ধ জয় রাইড

Toy Train Darjeeling Stopped Running DHR: পুজোর মধ্যে শিলিগুড়ি বা এনজেপি থেকে পাহাড়ে টয়ট্রেনের সুখযাত্রা সম্ভবত এবার আর সম্ভব নয়। যাঁরা ইতিমধ্যেই বুকিং শুরু করেছেন, তাঁরা খোঁজ রাখুন, কারণ সম্ভবত লাইনের মেরামতির কাজ পুজোর আগে শেষ করতে পারবে না রেল। এদিকে তাঁরা পুজোর চারদিনের বুকিং ওপেন করে দিয়েছে। যদি শেষমেষ চালানো সম্ভব না হয়, তাহলে বুকিংয়ের টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু যাঁরা টয়ট্রেনে চেপে দার্জিলিংয়ের যাবেন বলে মনে করেছেন, তাঁরা পড়বেন বিপাকে। ফলে তাঁদের এখন থেকেই রেলের বুলেটিনের উপর নজর রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে।

দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে সূত্রে খবর, যে গতিতে কাজ চলছে, তাতে পুজোর আগে কোনওমতেই লাইন মেরামতি শেষ করা সম্ভব নয়। পরিস্থিতি এমন থাকলে তবে চলতি বছর উৎসবের সময় এনজেপি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত আর টয়ট্রেন চালাতে পারবে না রেল। শনিবার কাজ শেষ করে ট্রায়াল রান হওয়ার কথা ছিল। যদিও নয়া নির্দেশিকা জারি করে সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত পরিষেবা বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ।

পুজোর মুখে এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় পর্যটনে বড় প্রভাব পরবে বলে মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের একাংশের মতে, রেলকে আরও আগে থেকে বাড়তি সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানিয়েছেন,পুজোতে যদি টয়ট্রেন না চালানো যায়, তবে কিছু নতুন ছোট ছোট জয় রাইড চালু করলে পর্যটকদের জন্য ভাল হবে। এনজেপি থেকে রংটং কিংবা কার্শিয়াং থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত চালানোর প্রস্তাব রাখছি। বহু পর্যটক পরিষেবা নিয়ে জানতে চাইছেন। ট্রেন ভাড়া নেওয়ার জন্যও অনেকে খোঁজ করছেন আমাদের কাছে।’

আরও পড়ুন

পরবর্তীতে ডিএইচআর পুরো বিষয়টি রেলবোর্ডকে জানায়। সেখান থেকে অনুমতি নিয়ে টাকা বরাদ্দ এবং টেন্ডার ডাকতে আরও ১৫ দিন সময় কেটে যায়। ঠিকাদার সংস্থার আধিকারিকদের এলাকা পরিদর্শনের পর শুরু হয় কাজ। সেই সময় থেকে ১০ দিন করে পরিষেবা বাতিল করা হচ্ছিল। প্রথমে পাগলাঝোরা দিয়ে মেরামতি শুরু করে ঠিকাদার সংস্থা। সূত্রের খবর, পাগলাঝোরার কাছে কাজ শেষ হয়েছে। তবে তিনধারিয়া এবং মহানদীর কাছে লাইনের নীচ থেকে পুরো মাটিই ধসে গিয়েছে। তাই একদম নীচের দিক থেকে ধাপ করে ঢালাই দিতে দিতে ওপরে উঠতে হচ্ছে।

Advertisement

পুজোর মধ্যে লাইন মেরামতি করে ট্রেন চালানো সহজ নয় বলে জানাচ্ছেন ঠিকা সংস্থার কর্মীরাই। শুক্রবার পরিদর্শনের পর রেলকর্তারাও এমন মনে করছেন। তাই ব্রেক জার্নির কথা ভাবা হচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত সেব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ফলে টয়ট্রেন পরিষেবা চালু করা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।

গত মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই দার্জিলিংগামী টয়ট্রেন পরিষেবা নিয়ে দোলাচল চলছে। মাঝে একবার বিভিন্ন জায়গায় লাইনে ধসের কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ধস সরিয়ে ট্রেন চালু করতেই টানা বৃষ্টির জেরে পাগলাঝোরার কাছে বড় ধরনের ধস নামে। রাস্তার একাংশ ধসে যায়।

জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ রাস্তার কাজ শেষ না করা পর্যন্ত ট্রেন চালানো একটু কঠিন বলেই মনে করছেন রেলকর্তারা। কারণ রাস্তা সংস্কারের পর একাধিক জায়গায় রেললাইনের মেরামতির কাজ করতে হবে। লাইন মেরামত না করলে ট্রেন চালানো যাবে না। আর এখন লাইন মেরামত করলেও লাভ হবে না। কারণ রাস্তার কাজ করতে গিয়ে কোনও কারণে লাইনের নীচ থেকে মাটি ধসে গেলে আবারও ক্ষতি হতে পারে। তাই রাস্তার কাজ শেষ হলেই লাইনের কাজে হাত দিতে চাইছে ডিএইচআর।

 

TAGS:
Advertisement