AC Best Temperature: রাতে এসি কত ডিগ্রিতে রেখে ঘুমোবেন? না জানলে বিপদে পড়বেন

ক্যালেন্ডারে জুন মাস। ভরা আষাঢ়। বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তবে গুমোট ভাব এখনও যায়নি। হাঁসফাঁস গরমে কাহিল হচ্ছে শরীর। এসি ছাড়া থাকা কঠিন! এত গরম যে ২০-২৫ ডিগ্রিতেও এসি ঘর ঠান্ডা করতে পারছে না। অনেকেই ১৬ ডিগ্রিতে চালাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকার নতুন নিয়ম আনতে চলেছে। তা বাস্তবায়ন হলে এসির তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির কম এবং ২৮ ডিগ্রির বেশি করা যাবে না। ১০ জুন সংবাদ বৈঠক করে এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর।

কী বলেছেন খট্টর? কেন্দ্রীয়মন্ত্রী জানান,'এসির তাপমাত্রার মাপদণ্ড ঠিক করা হচ্ছে। সরকার শীঘ্রই এই সম্পর্কিত নিয়ম আনবে। এসির তাপমাত্ রাখা হবে ২০ ডিগ্রি থেকে ২৮ ডিগ্রির মধ্যে। অর্থাৎ এসির তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির কম করা যাবে না। ২৮ ডিগ্রির বেশি বাড়ানোও যাবে না। এমন অনেক দেশ আছে যেখানে এসির তাপমাত্রা স্থির করা হয়েছে।
যেমন জাপান এবং ইতালি। '

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্যই কেন্দ্রীয় সরকারের এহেন পদক্ষেপ। কমবে বিদ্যুৎ খরচও। সেই সঙ্গে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকবে। আচ্ছা,শরীর ঠিক রাখার জন্য এসি কত ডিগ্রিতে রাখা উচিত?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন,এসির তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি রাখুন। এর বেশিও না, কমও না। এটাই আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো। কেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন,'এসি ২২ ডিগ্রিতে রাখলে ঘর ঠান্ডা হতে কিছুটা সময় লাগে। শরীরও ঘরের তাপমাত্রার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়। এ কারণে হঠাৎ খুব বেশি ঠান্ডা অনুভূত হয় না। অন্যদিকে, যখন এসির তাপমাত্রা খুব বেশি কমালে শরীরের জন্য ক্ষতিকর। যেমন, ১৮ থেকে ২০ ডিগ্রির মধ্যে এসি রাখা হলে ঘরের বাতাসে উপস্থিত আর্দ্রতা দ্রুত কমতে শুরু করে। বাতাস শুষ্ক হয়ে যায়। যার ফলে নাক এবং গলাও শুকিয়ে যায়। ফল? নাক দিয়ে জল ঝরতে শুরু করে। হাঁচি এবং গলা ব্যথা শুরু হয়। সেই সঙ্গে ত্বক এবং চোখও শুষ্ক হতে শুরু করে। কিন্তু ২২ ডিগ্রিতে তা হয় না।

রাতে ঘুমোনোর সময় কত তাপমাত্রা?

এসির এই তাপমাত্রা ঘুমের জন্যও সবচেয়ে ভালো। ২২ ডিগ্রিতে ঘর ঠান্ডা থাকে। কিন্তু খুব বেশি ঠান্ডা হয় না। এর ফলে রাতে ঠান্ডা লাগে না। ঘুমও ভাঙে না। গভীর ঘুম আসে।

এসির তাপমাত্রায় হার্টের পরিশ্রম 

এসির তাপমাত্রা খুব বেশি কমিয়ে দিলে শরীর রক্তনালিগুলি সংকুচিত হয়ে ভিতরের তাপ সংরক্ষণ করে। এটি শরীরের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। একে বলা হয় রক্তনালি সংকোচন। যখন রক্তনালিগুলি সংকুচিত হয়, তখন শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত ​​সরবরাহ করার জন্য হৃদপিণ্ডকে আরও বেশি পরিশ্রম করতে হয়। এতে রক্তচাপ বাড়তে পারে। ফল- মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা এবং অস্থিরতা। সুতরাং, এসির তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রিতে রাখুন। দিনের বেলায় কিছু সময়ের জন্য জানালা খোলা রাখুন। প্রচুর জল খান।