পার্সোনাল লোনজীবনে শখ বা বিপদ কোনওটাই ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সের জন্য অপেক্ষা করে না। তাই অনেকেই বিপদে পড়লে পার্সোনাল লোন নেন। আবার কেউ কেউ নিয়ে নেন শখ মেটাতে। এভাবেই পরিস্থিতি সামাল দেন।
কিন্তু মুশকিল হল, অনেকেই পার্সোনাল লোন নিতে গেলে ব্যাঙ্ক বেশি সুদ দিতে বলে। তাদের ইএমআই দিতে হয় অনেকটাই বেশি। অবশ্য এর অপরদিকেও একদল রয়েছেন। তারা আবার কম সুদে লোন পান। এমনকী ব্যাঙ্ক তাদের লোন নেওয়ার জন্য জোরাজুরি করে।
এখন প্রশ্ন হল, কেন কিছু মানুষ কম সুদে পার্সোনাল লোন পান? আর সেই উত্তরটাই রইল নিবন্ধটিতে।
ক্রেডিট স্কোর বেশি থাকা
এই সব ব্যক্তিদের ক্রেডিট স্কোর খুব বেশি থাকে। তাদের মোটামুটি ৭৫০-এর উপরে থাকে ক্রেডিট স্কোর। আর ৮০০ এর উপরে যাদের এই স্কোর থাকে, তারা আরও কম সুদে ঋণ পান। তাই সবার প্রথমে নিজের ক্রেডিট স্কোর বাড়াতে হবে। সেটা ৭৫০-এর উপরে রাখা দরকার। তাহলেই কম সুদে লোন পেয়ে যাবেন।
স্টেবল ইনকাম
আয়ের উৎসের দিকেও নজর রাখে ব্যাঙ্ক। সেক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তির যদি আয়ের উৎস স্টেবল বা স্থায়ী হয়, তাহলে তিনি কম টাকায় সুদ পেতে পারেন। এই কারণেই সরকারি চাকরি যারা করেন, তারা সাধারণত কম সুদে পান পার্সোনাল লোন। এছাড়া কোনও একটি বেসরকারি সংস্থাতেও যারা বছরের পর বছর কাজ করেন, তারাও কম সুদে ঋণ পান।
ভাল রিপেমেন্ট হিস্ট্রি রয়েছে
কম টাকায় লোন পেতে চাইলে ঠিক সময়ে আগের ধার শোধ দিতে হয়। তাহলে একটা ভালো রিপেমেন্ট হিস্ট্রি তৈরি হয়। যার ফলে ব্যাঙ্কের ভরসা অনেকটাই বাড়ে। তাই তারা কম সুদে ঋণ পান। তাই আপনিও কম টাকায় পার্সোনাল লোন পেতে চাইলে ঠিক সময়ে লোন দিয়ে দিন। তাহলেই খেলা ঘুরে যাবে। দেখবেন কম সুদে পেয়ে যাবেন লোন।
লো ডেবট টু ইনকাম রেশিও
আয়ের সবটাই ইএমআই শোধ করতে চলে গেলে বিপদ। এক্ষেত্রে ক্রেডিট স্কোর কমে যেতে পারে। তখন বেশি সুদে লোন মিলবে।
অপরদিকে যারা আয়ের কিছুটা টাকা মাত্র লোনের রিপেমেন্ট দেওয়ার জন্য খরচ করেন, তারা অনেক কম সুদে ঋণ পান। তাই চেষ্টা করুন আয়ের যেন ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের বেশি লোনের ইএমআই না দিতে হয়।
ভাল সম্পর্ক
একটি ব্যাঙ্কের থেকে একাধিক লোন নিলে ভাল সম্পর্ক তৈরি হয়। তার উপর যদি ঠিক সময় লোন শোধ দেওয়া হয়, তখন ব্যাঙ্কও কিছুটা সুবিধা দেয়। তাদের পক্ষ থেকে কম সুদে দেওয়া হয় লোন। তাই এই বিষয়টাও মাথায় রাখা জরুরি।