Dengue Vaccine: ডেঙ্গির ভ্যাকসিনও চলে এল, সিঙ্গল ডোজে অনুমোদন

ডেঙ্গু জ্বর, যাকে অনেক সময় ‘ব্রেকবোন ফিভার’ বা ‘হাড় ভাঙা’ বলা হয়, ২০২৪ সালে ভয়ঙ্কর মাত্রায় বেড়েছে। উচ্চ জ্বর, শরীর ব্যথা, ক্লান্তি, বমি ভাব-এই উপসর্গগুলোকে অনেকে সাধারণ ফ্লু ভেবে অবহেলা করে, কিন্তু ডেঙ্গু সময়মতো চিকিৎসা না পেলে প্রাণঘাতী হতে পারে।

Advertisement
ডেঙ্গির ভ্যাকসিনও চলে এল, সিঙ্গল ডোজে অনুমোদন
হাইলাইটস
  • ডেঙ্গু জ্বর, যাকে অনেক সময় ‘ব্রেকবোন ফিভার’ বা ‘হাড় ভাঙা’ বলা হয়, ২০২৪ সালে ভয়ঙ্কর মাত্রায় বেড়েছে।
  • উচ্চ জ্বর, শরীর ব্যথা, ক্লান্তি, বমি ভাব-এই উপসর্গগুলোকে অনেকে সাধারণ ফ্লু ভেবে অবহেলা করে, কিন্তু ডেঙ্গু সময়মতো চিকিৎসা না পেলে প্রাণঘাতী হতে পারে।

ডেঙ্গু জ্বর, যাকে অনেক সময় ‘ব্রেকবোন ফিভার’ বা ‘হাড় ভাঙা’ বলা হয়, ২০২৪ সালে ভয়ঙ্কর মাত্রায় বেড়েছে। উচ্চ জ্বর, শরীর ব্যথা, ক্লান্তি, বমি ভাব-এই উপসর্গগুলোকে অনেকে সাধারণ ফ্লু ভেবে অবহেলা করে, কিন্তু ডেঙ্গু সময়মতো চিকিৎসা না পেলে প্রাণঘাতী হতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ডেঙ্গু-ছড়ানো এডিস মশার সংখ্যা বেড়েছে এবং তারা নতুন নতুন অঞ্চলেও দ্রুত বাড়ছে। ফলে এশিয়া বা দক্ষিণ আমেরিকা নয়-ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন এলাকাও এখন ডেঙ্গুর কবলে।

এমন পরিস্থিতিতেই এলো দারুণ সুখবর। ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইতিহাস গড়ল ব্রাজিল। তারা বিশ্বের প্রথম একক-ডোজ ডেঙ্গু ভ্যাকসিন অনুমোদন করেছে-যা একবার নেওয়াই যথেষ্ট সুরক্ষা দিতে পারে। ফলে বারবার ডোজ নেওয়ার ঝামেলা নেই, আর দ্রুত টিকাকরণ চালানো সম্ভব হবে যেখানে ডেঙ্গু হু হু করে ছড়াচ্ছে।

নতুন টিকা কী?
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা ANVISA সাও পাওলোর বুটানটান ইনস্টিটিউট তৈরি করা Butantan-DV ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দিয়েছে। এটি ১২ থেকে ৫৯ বছর বয়সীদের জন্য ব্যবহার করা যাবে। আগে বাজারে থাকা TAK-003 টিকার জন্য তিন মাসের ব্যবধানে দুটি ডোজ নিতে হতো। নতুন একক ডোজ টিকা সেই তুলনায় অনেক সহজ, দ্রুত এবং বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।

বৈজ্ঞানিক অর্জন
“এটি ব্রাজিলের বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্যজগতে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ,” মন্তব্য করেছেন বুটানটান ইনস্টিটিউটের পরিচালক এসপার ক্যালেস। তাঁর কথায়, “যে রোগ কয়েক দশক ধরে মানুষের জীবন বিপর্যস্ত করেছে, এবার তার বিরুদ্ধে আমাদের হাতে শক্তিশালী অস্ত্র এসেছে।”

ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ১৬,০০০-এর বেশি মানুষ অংশ নেন এবং টিকাটি গুরুতর ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ৯১.৬% সুরক্ষা দেখিয়েছে।

ডেঙ্গু এত উদ্বেগজনক কেন?
ডেঙ্গু এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। মারাত্মক ক্ষেত্রে এটি ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে পরিণত হতে পারে, যা প্রাণঘাতী। ডব্লিউএইচও-র তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে ১ কোটি ৪৬ লক্ষেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন এবং প্রায় ১২,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়-যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

Advertisement

ভবিষ্যতের দিশা
একক ডোজ টিকার অনুমোদন ডেঙ্গু প্রতিরোধে বড় পরিবর্তন আনবে। দ্রুত ও ব্যাপকভাবে টিকাদান চালালে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমবে, গুরুতর অসুখের সংখ্যা হ্রাস পাবে এবং হাজার হাজার প্রাণ বাঁচানো যাবে। ডেঙ্গু-প্রবণ দেশের জন্য এটি এক যুগান্তকারী সাফল্য হতে পারে।

 

POST A COMMENT
Advertisement