আপনি নিশ্চয়ই নীলা নামের রত্নটির কথা শুনেছেন, যা অনেকে আংটিতেও পরেন। আংটিতে পরা নীলকান্তমণি বা নীলা বেশ দামী। আর নীলার দাম শুধু এর রঙের জন্য নয়, এর সৌভাগ্য ফেরানোর ক্ষমতা বা এই সংক্রান্ত বিশ্বাসের কারণেও আকাশছোঁয়া!
একটা ১০ ক্যারেটের নীলার দাম ৮০ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এ বার ভেবে দেখুন, ৩১০ কেজি ওজনের নীলার দাম কত হতে পারে!
আসলে শ্রীলঙ্কার কাছে একটা জায়গা আছে যার নাম রত্নপুর। নামের মতোই এই জায়গাটিতে এখানে ওখানে ছড়িয়ে রয়েছে কোটি কোটি টাকার রত্ন। সম্প্রতি এই রত্নপুর সম্পর্কে বিশ্বের মানুষের কৌতুহল তুঙ্গে পৌঁছেছে। কারণ, এখানে পাওয়া গিয়েছে একটি ৩১০ কেজি ওজনের বিশাল আকৃতির নীলা!
শ্রীলঙ্কার কালুতারা জেলার রত্নপুর গ্রামে এই নীলা পাওয়া গেছে। এই নীলাটির ওজন ৩১০ কেজি। দাবি করা হচ্ছে যে, এটিই বিশ্বের বৃহত্তম প্রাকৃতিক নীলকান্তমণি বা নীলা। প্রায় ৩ মাস আগেই রত্নাপুরে এই নীলার খোঁজ মিলেছিল।
সেটিকে পাথরের গা থেকে কেটে বের করার পরে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে এটির ওজন ৩০০ কেজিরও বেশি। এই বিশাল ওজনের নীলকান্তমণি বা নীলা বের হওয়ার পর সবাই অবাক! এর মূল্য ১০০ কোটিরও বেশি হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
এর আগেও একটি খবর ছিল যেখানে বলা হয়েছিল যে এখানে শ্রীলঙ্কায় একটি নীলকান্তমণি বা নীলা পাওয়া গেছে, যার ওজন ৫০০ কেজির বেশি বলে জানা গেছে। ৫০০ কেজি ওজনের এই নীলকান্তমণি বা ওই নীলার দাম বলা হচ্ছে ৭০০ কোটি টাকার বেশি।
ওই নীলকান্তমণি বা নীলার গল্পটি আরও বিশেষ, কারণ এই নীলকান্তমণি বা নীলা একটি সাধারণ খননে বেরিয়ে এসেছিল। কিছু ব্যবসায়ী তার বাড়িতে একটি গর্ত খুঁড়ছিল এবং এই খননে এটি পাওয়া যায়। বাড়ির পিছনে কূপ খনন করতে গিয়ে এই গুপ্তধন খুঁজে পান শ্রীলঙ্কান ব্যক্তি।
পরে এটি ছাড়পত্রের জন্য দেওয়া হয় এবং প্রশাসন এটি পরিষ্কার করতে দীর্ঘ সময় নেয়। এরপর নিশ্চিত হয় নীলা। পরিষ্কার করার সময়, এটি থেকে প্রচুর উচ্চ মানের রত্ন পড়তে থাকে। এই উচ্চমানের রত্নগুলির মধ্যে কতগুলি পাওয়া গেছে তা বিশেষজ্ঞরা এখনও অনুমান করতে সক্ষম হননি।
রত্নপুরকে বলা হয় শ্রীলঙ্কার রত্ন রাজধানী। এখানে প্রচুর রত্ন পাওয়া যায়। শ্রীলঙ্কা পান্না, নীলকান্তমণি বা নীলা এবং অন্যান্য মূল্যবান রত্ন রপ্তানিকারক হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত। গত বছর রত্ন রপ্তানি থেকে ৫০ কোটি টাকার বেশি আয় হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এত বড় নীলকান্তমণি বা নীলা আগে দেখা যায়নি এবং ধারণা করা হয় যে এটি প্রায় ৪০ কোটি বছর আগে তৈরি হয়েছিল।