scorecardresearch
 

৩৫ বছর পর বাবার সঙ্গে দেখা করার খুশি স্থায়ী মাত্র ১০ মিনিট, মারা গেল ছেলে

পারিবারিক বিবাদে ছেলে-বাবার বিচ্ছেদ ছিল ৩৫ বছরের। ছেলে সিদ্ধান্ত নেন বাবার সঙ্গে দেখা করবেন। ৩৫ বছর পর বাবার সঙ্গে দেখা হওয়ার ১০ মিনিট পরেই মৃত্যুর পরে ঢলে পড়েন ছেলে। কিন্তু কেন ?

Advertisement
সস্ত্রীক পল সস্ত্রীক পল
হাইলাইটস
  • ৩৫ বছর পর বাবার সঙ্গে দেখা
  • তারপর আয়ু মাত্র ১০ মিনিট
  • নিয়তির পরিহাস নাকি ভবিতব্য

গীতায় আছে "যা হয়েছে ভালর জন্যই হচ্ছে, যা হচ্ছে ভালর জন্যই হচ্ছে। যা হবে ভালর জন্য়ই হবে।" অথচ ব্রিটিশ আধিপত্যে থাকা দ্বীপ আইল অফ ম্যানে যে ঘটনা ঘটেছে, তার পিছনে কি ভাল লুকিয়ে থাকতে পারে কেউ ঠাহর করতে পারছে না। যে ঘটনা ঘটেছে, তা কেবল কল্পনাপ্রসূত গল্পেই সম্ভব বলে মনে হতো, যদি না এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতো।

৩৫ বছর পর বাবার সঙ্গে দেখা হওয়ার খুশি স্থায়ী হল ১০ মিনিট

৩৫ বছর পর বাবার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। সেই খুশি স্থায়ী হল তারপর মাত্র ১০ মিনিট। বাবার বলুন, কিংবা ছেলের। কারণ এরপর যে ঘটনা ঘটলো তার পিছনে অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা  লুকিয়ে আছে।

নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাস

নিয়তির পরিহাসে দেখা হওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেল ছেলে। ৫৬ বছর বয়সেই সোমবার আইল অফ ম্যানে ভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা লাগে ছেলের মৃত্যু হয়ে গেল। মাউন্টেন কোর্সে একটি মোটরসাইকেলে রোড রেসিং সার্কিটে ছিলেন তিনি। ওই সড়কটিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সেখানে কোনও স্পিড লিমিট ছিল না এবং রাস্তাটি অনেকটাই বিপদজনক ছিল মনে করা হচ্ছে।

পরিবারের কাছে বিরাট ধাক্কা

যে মাউন্টেন রোডে বাইক চালানোর সময় পলের চোখে সূর্যের রক্ষ্মি সোজাসুজি পড়ায় তিনি চোখে ধাঁধা দেখেন। তখনই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। পল এর জন্ম আইল অফ ম্যানে হয়েছিল। পল এর ২২ বছর বয়সে সৎ মেয়ে রমসা জানিয়েছেন, এই ভয়ানক দুর্ঘটনাটি তাদের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে এই দুর্ঘটনা।সব থেকে তারা এখনও বেরোতে পারেননি।

খুশি মাত্র ১০ মিনিট

পল নিজের বাবার সঙ্গে ৩৫ বছর পর দেখা করেছিলেন। পারিবারিক অশান্তির কারণে তিনি নিজের বাবার সঙ্গে এতদিন দেখা হয়নি। কিন্তু তার বাবার সঙ্গে দেখা হওয়ার ১০ মিনিট পরে পথ দুর্ঘটনায় মারা যায় সে। তিনি তার নিজের দুই ছেলেকে প্রথমবার নিজের ঠাকুরদার সঙ্গে দেখা করতে নিয়ে যান ৩৫ বছর পর। কিন্তু দুই ছেলের কাছে এটাই প্রথম। 

Advertisement

মৃত পলের মেয়ের জবান

রমসা জানিয়েছেন, আমার এবং আমার বন্ধুর একটি সন্তান হয়েছে।  যার বয়স কেবল ১২  দিন এবং তারা কেবল একবার একে অপরের সঙ্গে দেখা করতে পেরেছে। এই যে ক্ষতি হয়ে গেল, তার কোনদিন পূরণ হবে না ।পরিবার এখন পালের মৃতদেহকে বাড়িতে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। যাতে তার অন্তিম সংস্কার বা ফিউনেরাল ঠিকমত করা যায় শেষ বিদায় আর্থিক সহায়তার জন্য গো ফান্ড মিতে প্রচার চালানো হচ্ছে।

 

Advertisement