ছেলের স্কুলে ছেলেকে আনতে গিয়েছিলেন, ছেলে ছোট্ট একটা ভুল করে ফেলেছিল। যার জন্য বকাবকি করবেন ভেবে রেখেছিলেন। কিন্তু এভাবে ছেলের ভুল তাঁকে কোটিপতির কাতারে খাড়া করে দেবে তা তিনি স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি।
ছেলেকে স্কুল থেকে আনতে গিয়ে কোটিপতি
৫১ বছরের প্রিন্স জর্জ মেরিল্যান্ড লটারি অফিসারদের জানিয়েছেন, তিনি তার ছেলেকে স্কুলে আনতে গিয়েছিলেন। যখন তিনি জানতে পারলেন যে গাড়ির দরজায় নিজের জ্যাকেট আটকে ফেলেছে ছেলে এবং জ্যাকটটি মাটিতে ঘষটে চলেছে, তখনই বুঝেছিলেন, সেটিকে পরিষ্কার করাতে ড্রাই ক্লিনিংয়ে দিতে হবে। সেখানে তখন সেটিকে পরিষ্কার করাতে নিকটতম ড্রাই ক্লিনার্সে পৌঁছতেই তিনি হয়ে যান কপালগুণে কোটিপতি।
ছেলের ছোট্ট একটি ভুল, আর তাতেই সাড়ে সাত কোটি টাকার মালিক
মানুষের কপাল কখন খুলবে, তা ভগবানও বোধহয় ঠিকঠাক জানেন না। কিংবা হয়তো বা জানেন, তিনিই এমন ঘটনা ঘটিয়ে উপরে বসে মজা দেখেন ! এমনই একটি ঘটনা সামনে এসেছে। যা শুনলে নিজের ভাগ্যকে হিংসে হতেই পারে। আমেরিকার মেরিল্যান্ড এলাকায় এমন একটি ঘটনা ঘটেছে, যা শুনলে চোখ কপালে উঠবে বাধ্য। এক ব্যক্তির ছেলে ছোট একটি ভুল করে ফেলাতে সাত কোটি টাকার বেশি মালিক হয়ে গিয়েছেন তিনি। তার এক মিলিয়ন ডলারের লটারি মিলেছে।
ছেলের জ্যাকেট নোংরা হওয়াই তাঁর ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দেয়
৫১ বছর বয়সে প্রিন্স জর্জ মেরিল্যান্ড লটারির আধিকারিকদের জানিয়েছেন, তিনি নিজের ছেলেকে স্কুল থেকে আনতে গিয়েছিলেন। তিনি জানতে পারলেন যে, তাঁর ছেলে গাড়ির দরজায় তার জ্যাকেট আটকে ফেলেছে এবং জ্যাকেটটি মাটিতে ঘষটে যাওয়ায় নোংরা হয়ে গিয়েছে। তখন তিনি চিকিৎসা করাতে নিকটতম ড্রাই ক্লিনার্স এর কাছে পৌঁছান। তিনি জানান, ড্রাই ক্লিনিং-এর আপাত পরিস্থিতিতে তিনি তাঁর ছেলের জ্যাকেটের কারণে ১ মিলিয়ন ডলার জ্যাকপট পেয়ে গিয়েছেন।
৭ কোটি ৫০ লক্ষ ৭০ হাজার ৩৫০ টাকার মালিক
প্রিন্স জর্জ জানান, সেখানে তিনি দোকানে দাঁড়িয়ে থাকতে-থাকতে সামনের একটি কাউন্টার থেকে ২২ সেপ্টেম্বর এর ড্র হওয়ার একটি ২ ডলারের লটারি কিনে ফেলেন। ওই ব্যক্তি জানান, এরপর টিকিটটি এক সপ্তাহের বেশি তাঁর বাড়িতে পড়েছিল। ওই শিশুটির বাবা জানিয়েছেন. যে যখন তিনি তার টিকিটের নম্বরটি ফোনে আচমকা পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখেন, তিনি এক মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৭ কোটি ৫০ লক্ষ ৭০ হাজার ৩৫০ টাকা জিতে ফেলেছেন। বদলে দেওয়া পরিস্থিতি নিয়ে চলে এসেছে লটারি জেতায়।
বিশ্বাসই হয়নি প্রথমে
ওই ব্যক্তি জানান, আমার প্রথমে বিশ্বাস হয়নি আর আমি এই আচমকা ঝটকায় সামলাতে না পেরে বসে পড়ি। তারপর তিনি সেই নম্বর তার স্ত্রীকে দিয়ে ফের যাচাই করতে বলেন। স্ত্রীও যাচাই করে বিষয়টি নিশ্চিত করার পর তিনি ধীরে ধীরে বিশ্বাস করতে শুরু করেন তিনি টাকা কীভাবে খরচ করবেন, তাঁর হিসাব তৈরি করছেন।