উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। বিয়ের প্রথম রাতেই স্বামীকে ছুঁতেও দিলেন না নববধূ। উল্টে প্রাণনাশের হুমকি দিলেন! শুধু তাই নয়, স্বামী বলপূর্বক ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করলে গোটা পরিবারকে জেলে পাঠানোর হুমকিও দিলেন তিনি। এদিকে হুমকিতে থতমত খেয়ে নববিবাহিতা স্ত্রী-র বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন যুবক।
ফুলশয্যার রাতেই চমক!
বরেলির এই যুবকের বিয়ে হয় গত ২৫ জানুয়ারি। কনের বাড়ি বারাদরী থানা এলাকার অন্তর্গত। অভিযোগ, প্রথম রাতে নববধূ স্বামীকে ঘনিষ্ঠ হতে বাধা দেয়। তারপর আর ওই যুবক চেষ্টা করেননি বলে দাবি করেছেন। কিন্তু এরপরেই স্ত্রীর একের পর এক হুমকি শুনে ঘাবড়ে যান বলে দাবি করেছেন। তাঁর কথায়, স্ত্রী হুমকি দিয়ে বলেন, তাঁকে জোর করা হলে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করবেন। শুধু তাই নয়, শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেবেন বলেও থ্রেট দেন। এরপর ভীষণ ভয় পেয়ে যান বলে দাবি যুবকের। এই ঘটনা জানাজানি হতেই পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়।
স্বামী নয়, প্রেমিকের সঙ্গেই থাকতে চায় নববধূ!
অভিযোগকারী স্বামীর দাবি, তার স্ত্রী আগেই অন্য এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িত ছিল। এমনকি, একবার সে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েও গিয়েছিল। পরিবারের চাপে সে এই বিয়েতে রাজি হলেও, আসলে সে এখনো প্রেমিকের সঙ্গেই থাকতে চায়। স্বামী বিষয়টি পরিবারের কাছে জানালে তারা নববধূকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু নববধূ পাল্টা হুমকি দেয়, জোর করলে সে আত্মহত্যা করবে এবং স্বামীর গোটা পরিবারকে ফাঁসিয়ে দেবে। এরপর নববধূর বাপেরবাড়ির লোকজনও স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে হুমকি দিতে শুরু করে।
পরিবারের যোগসাজশের অভিযোগ
স্বামীর অভিযোগ, নববধূ অপরাধপ্রবণ। তাঁরা শুধু তাঁকে নয়, তাঁর বাবা-মা ও আত্মীয়দেরও গালিগালাজ করে এবং হুমকি দেয়। এমনকি, তাঁর বাবাকে শ্লীলতাহানির মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জেলে পাঠানোর ভয় দেখানো হয়। স্বামীর মা দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে আক্রান্ত, আর এই ঘটনায় গোটা পরিবার মানসিক চাপে ভুগছে। স্ত্রীর হুমকি দিন দিন বাড়ছে, সে ফোনে আত্মীয়দেরও ভয় দেখাচ্ছে। দাবি করছে, স্বামী জোর করলে সে আত্মহত্যা করবে এবং তাকে দায়ী করা হবে।
আইনি পদক্ষেপ ও পুলিশের তদন্ত পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। সমস্ত পক্ষের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। অন্যদিকে, স্বামী পুলিশের কাছে আর্জি জানিয়ে বলেছেন, তিনি এই সম্পর্কে থাকতে চান না। কিন্তু স্ত্রী এবং তার পরিবার তাকে নানাভাবে মানসিক নির্যাতন করছে। নববধূ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তাকে ডিভোর্স দিতে হবে, তবে তার ফলাফলের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। স্বামী পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা ও ন্যায়ের জন্য আবেদন জানিয়েছেন।