অদ্ভুত এক ঘটনায় বিয়ের ঠিক আগে অফিসের এক সহকর্মীর অভিযোগের মুখে পড়লেন এক কনে। সহকর্মীর দাবি, তাঁকে বিয়েতে আমন্ত্রণ না জানিয়ে কনে নাকি কর্মস্থলে ‘প্রতিকূল পরিবেশ’ তৈরি করেছেন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে যখন যুক্তরাষ্ট্রের এক নারী রেডিটে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন, যা পরে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্ট-এও প্রকাশিত হয়।
ওই নারী লেখেন, বিয়ের কয়েকদিন আগে হঠাৎ এইচআর বিভাগ থেকে ফোন পেয়ে তিনি অবাক হয়ে যান। তাঁকে জানানো হয়, অফিসের এক সহকর্মী তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন— বিয়েতে আমন্ত্রণ না পেয়ে তিনি অপমানিত ও অবহেলিত বোধ করছেন। এই ঘটনা নাকি অফিসের কাজের পরিবেশকে প্রভাবিত করছে।
কনের ভাষায়, ওই সহকর্মীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক মোটেও ঘনিষ্ঠ ছিল না। অফিসে মাঝে মাঝে ছোটখাটো আলাপ হতো, কিন্তু কখনও একসঙ্গে লাঞ্চ বা কাজের বাইরে মেলামেশা হয়নি। তবুও সহকর্মী সরাসরি জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তিনি কি বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র পাবেন? কনে বিনয়ের সঙ্গে না করায় প্রথমে বিষয়টি শান্ত হলেও কয়েকদিন পরই অভিযোগের রূপ নেয়।
এইচআরের সঙ্গে বৈঠকে কনে স্পষ্ট জানান, বিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান— এর সঙ্গে অফিস বা সহকর্মীদের কোনও সম্পর্ক নেই, তাই কাউকে আমন্ত্রণ জানানো বা না জানানো সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।
শেষমেষ এইচআর টিম তাঁর যুক্তি মেনে নিয়ে অভিযোগটি বন্ধ করে দেয়। তবে এখানেই শেষ নয়— অভিযোগকারী সহকর্মী নাকি প্রকাশ্যে কনের প্রতি বিরূপ আচরণ শুরু করেন, পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য বা অঙ্গভঙ্গি করেন।
ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকে কনের পাশে দাঁড়িয়ে মন্তব্য করেন— ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে কাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে, তা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়; এর সঙ্গে অফিসের পেশাগত পরিবেশকে জড়ানো উচিত নয়।