Dhanbad Rail Hospital: ডাক্তারের চেম্বারে ঢোকার আগে ডিআরএমের স্ত্রীর চটি খুলে ঢুকতে বাধ্য করার ফল যে এত কঠিন হবে তা বুঝতে পারেননি ওই সাধারণ কর্মচারী। এর বদলে ডিআরএম ওই অ্যাটেনডেন্টের জামা কাপড় খুলিয়ে তারপর ছাড়েন। নিজের দফতরে ডেকে ওই কর্মীকে খুব খারাপ ভাবে অপমান করেন। এরপরে ওই কর্মী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন এবং অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়। এ বিষয়টি জানাজানি হতেই অ্যাটেনডেন্টের সহকর্মীরা হাসপাতালে কাজ বন্ধ করে হরতাল ঘোষণা করে দেয়।
আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়িতে কোথায় পাবেন সেরা মোমো? রইল ১০ ঠিকানা
আরও পড়ুনঃ পেটভরে এই খাবারগুলি খেলেও বাড়ে না ওজন, খেতেও সুস্বাদু
ধানবাদ ডিভিশনাল রেলওয়ে হাসপাতালে কর্মচারীদের ওপিডি পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। কর্মচারীদের ডিআরএম-এর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনেন। আসলে ডিআরএমের অভদ্র ব্যবহার এবং দুর্ব্যবহারের কারণে কর্মচারীদের ক্ষোভ আক্রোশে পরিণত হয়েছে। যদিও এডিআরএম ঘটনাস্থলে পৌঁছালে এবং কর্মচারীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন।
চটি পড়ে চেম্বারে ঢুকতে বাধা দিয়েছিলেন ওই কর্মী
এই সময়ে বিক্ষোভকারী কর্মচারীরা জানিয়েছেন যে, ডিআরএম কমলকিশোর সিনহার স্ত্রী চিকিৎসার জন্য রেল হাসপাতালে এসেছিলেন। চিকিৎসকের চেম্বারের বাইরে অ্যাটেনডেন্ট বসন্ত উপাধ্যায় নিজের ডিউটিতে নিযুক্ত ছিলেন। সেই সময় বসন্ত ডিআরএমেএর স্ত্রী এবং তাঁর সঙ্গে আসা এক ব্যক্তি চেম্বারের বাইরে চটি খুলে ঢুকতে অনুরোধ করেন। তখন রেল অফিসারের স্ত্রী কিছু বলেননি। চিকিৎসার সঙ্গে দেখা করে ফিরে যান। কর্মচারীদের অভিযোগ যে, এরপরে ডিআরএম অফিসে ওই চিকিৎসকের অ্যাটেনডেন্ট বসন্ত উপাধ্যায়কে ডাকেন এবং সেখানে সেখানে তাকে বিভিন্নভাবে অকথা-কুকথা শোনানো হয় এবং তাঁকে অপমান করা হয়।
জামাকাপড় খুলে নেওয়া হয় ওই কর্মীর
ডিআরএমের নির্দেশে বসন্তের চপ্পলের বদলে জামা কাপড় খুলিয়ে নেওয়া হয়। এই ঘটনার পর মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন বসন্ত এবং ডিপ্রেশনে চলে যান। অপমানের আহত বসন্ত এরপর শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এরপর ভালো চিকিৎসার জন্য তাকে অন্য হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
রেল হাসপাতালের মহিলা অ্যাটেনডেন্ট যশোদা দেবী জানিয়েছেন যে, আমরা এখানে আসার সমস্ত রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজ করি। আজ বসন্ত উপাধ্যায়েরকে যেভাবে অপমান করা হয়েছে এরপর আমাদের অন্য কর্মচারীদের করা হবে। এজন্য ডিআরএমকে বরখাস্ত করা উচিত। সেখানে এই বিষয় নিয়ে ধানবাদ ডিভিশনাল রেলের এডিআরএম বলেছেন যে ঘটনার কোনও সাক্ষী নেই। আপাতত ওপিডি পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। সেটি সচল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।