'বাবাকে দুই ভাগ করে দাহ হোক,' দুই ভাইয়ের কীর্তিতে আতঙ্ক! পুলিশ ডাকল গ্রামবাসী

বাবার মৃত্যুর পর দুই ছেলের মধ্যে সম্পত্তি ভাগাভাগি শোনা যায়। খুবই কমন ব্যাপার। কিন্তু বাবার দেহই যদি দু'ভাগ করা হয়? না, হেঁয়ালি নয়, বাস্তবেই এমন আজব দাবি তুলল এক গুণধর ছেলে! মধ্যপ্রদেশের টিকমগড়ের এই ঘটনা যে-ই শুনছেন, আঁতকে উঠছেন। এমনটা আবার হয় নাকি?

Advertisement
'বাবাকে দুই ভাগ করে দাহ হোক,' দুই ভাইয়ের কীর্তিতে আতঙ্ক! পুলিশ ডাকল গ্রামবাসীছবি প্রতীকী, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কল্পনায়।

বাবার মৃত্যুর পর দুই ছেলের মধ্যে সম্পত্তি ভাগাভাগি শোনা যায়। খুবই কমন ব্যাপার। কিন্তু বাবার দেহই যদি দু'ভাগ করা হয়? না, হেঁয়ালি নয়, বাস্তবেই এমন আজব দাবি তুলল এক গুণধর ছেলে! মধ্যপ্রদেশের টিকমগড়ের এই ঘটনা যে-ই শুনছেন, আঁতকে উঠছেন। এমনটা আবার হয় নাকি?

গোটা বিষয়টা একটু খোলসা করে বলা যাক। টিকমগড় জেলার এক গ্রামে সম্প্রতি এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। আর তারপরেই দুই ছেলের মধ্যে শেষকৃত্য নিয়ে বিবাদ বাঁধে। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, বড় ছেলে বাবার দেহ অর্ধেক কেটে আলাদা করে দাহ করার দাবি তোলে। গ্রামবাসীরা বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশকে খবর দেন। শেষ পর্যন্ত পুলিশের হস্তক্ষেপে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

ঘাবড়ে যান আত্মীয়-পরিজনরা

টিকমগড় জেলার তাল লিধৌরা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন ধ্যানি সিং ঘোষ। ৮৫ বছর বয়স হয়েছিল। সম্প্রতি তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। যে কোনও বাড়ির মতোই পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। ছোট ছেলে দামোদর ঘোষ শেষকৃত্যের প্রস্তুতি শুরু করেন। পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও আত্মীয়রা এসে শোক প্রকাশ করছিলেন। এই পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল।

তবে এরই মধ্যে হঠাৎ বড় ছেলে কিশন সিং ঘোষ এসে পৌঁছান। নিজের পরিবার নিয়ে চলে আসেন। এসেই তিনিই শেষকৃত্য করবেন বলে দাবি জানান। বলেন, এটাই নাকি নিয়ম। বড় ছেলেই শেষকৃত্য করবে। 

কিন্তু ছোট ভাই দামোদর তাতে রাজি হননি। তাঁর যুক্তি ছিল, তিনিই বাবার দেখভাল করেছেন, তাই শেষকৃত্যের অধিকার তাঁর। আর কোনও যুক্তি মানতে তিনি নারাজ।

গ্রামজুড়ে চাঞ্চল্য, পুলিশের হস্তক্ষেপে সমাধান

পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের দাবি, বাবার অসুস্থতার সময় বড় ছেলে কিশন ও তাঁর পরিবার কোনও খোঁজ রাখেনি। তাই বাবার শেষকৃত্যের অধিকার শুধুমাত্র দামোদরেরই পাওয়া উচিত। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় এবং বাবার দেহ বাড়ির উঠোনেই রেখে দেওয়া হয়।

এরপর পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে ওঠে যে কিশন সিং ঘোষ বাবার দেহ দুই টুকরো করে আলাদা দাহ করার কথা বলেন। এতে গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে পুলিশকে খবর দেন।

Advertisement

পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দুই পক্ষকে বোঝানোর পর পরিবারের সম্মতিতে ছোট ছেলে দামোদরকে শেষকৃত্যের অনুমতি দেওয়া হয়। পুলিশের মধ্যস্থতায় ৬ ঘণ্টা পর শেষ পর্যন্ত ধ্যানি সিং ঘোষের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

পুলিশের বক্তব্য

এ বিষয়ে জাতারা থানার ইনচার্জ অরবিন্দ সিং দাঙ্গি জানিয়েছেন, পরিবার ও আত্মীয়দের মতামত অনুযায়ী ছোট ছেলে দামোদর ঘোষ বাবার শেষকৃত্য করেন। বড় ভাই কিশনকে সহযোগিতা করতে বলা হয়।

 

POST A COMMENT
Advertisement