scorecardresearch
 

ছবি তুলতে গিয়ে অন্তর্বাস পর্যন্ত খুলে ফেললেন দুই মহিলা, মুসলিম দেশে হইচই

ইন্দোনেশিয়ার মতো গোঁড়া মুসলিম দেশে ঘুরতে গিয়ে ছবি তোলার সময় এ কী করে ফেললেন দুই যুবতী ! জামাকাপড় খুলতে খুলতে অন্তর্বাস পর্যন্ত খুলে ফেললেন। গায়ে সুতোটি পর্যন্ত নেই। টুইটারে ছবি পোস্টও করলেন। তারপর শুরু হল হইচই। এখন পুলিশ খুঁজছে।

Advertisement
এই ছবি ঘিরে হইচই এই ছবি ঘিরে হইচই
হাইলাইটস
  • দুই মহিলার গায়ে সুতোটি নেই
  • ছবি তুলতে নগ্ন মহিলাদের খুঁজছে পুলিশ
  • দোষী প্রমাণিত হলে কড়া শাস্তি হতে পারে

ইন্দোনেশিয়ার মতো গোঁড়া মুসলিম দেশে ঘুরতে গিয়ে ছবি তোলার সময় এ কী করে ফেললেন দুই যুবতী ! জামাকাপড় খুলতে খুলতে অন্তর্বাস পর্যন্ত খুলে ফেললেন। গায়ে সুতোটি পর্যন্ত নেই। টুইটারে ছবি পোস্টও করলেন। তারপর শুরু হল হইচই। এখন পুলিশ খুঁজছে।

গায়ে নেই সুতো, সম্পূর্ণ নগ্ন

ইন্দোনেশিয়ায় পর্যটন কেন্দ্রে দুই মহিলা ঘুরতে গিয়ে এমন কাণ্ড ঘটিয়ে ফেললেন, যার জন্য গোটা বিশ্বের কাছে ইন্দোনেশিয়ার মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে। ঘুরতে গিয়ে জঙ্গলে দুই মহিলা ছবি তুলতে গিয়ে একে একে প্রায় সমস্ত জামাকাপড় খুলে ফেললেন। গায়ে সুতোটি পর্যন্ত ছিল না। যা ব্যাপক গোলমাল সৃষ্টি করেছে। শুধু ছবি তুললেও কথা ছিল, তা রীতিমতো টুইটারে পোস্ট করেন তাঁরা।

মৌলবাদী দেশে এমন দুঃসাহস

এখন পুলিশ ওই দুই মহিলা এবং তাদের সঙ্গী  একজন পুরুষ পর্যটক এর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। ওই ছবিগুলি টুইটারে শেয়ার করে এক ব্যক্তি লেখেন, মৌলবাদী মুসলিম বহুল দেশে বিনা কাপড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে মহিলা। এমন ভাবা যায় না। অনেকে আবার তালিবানদের কথা স্মরণ করে চমকে উঠেছেন। আফগানিস্তানে হলে এতক্ষণ খুন হতে হতো বলে মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ।

ছবি সরানোর আগেই ভাইরাল 

এমন হইচই শুরু হওয়ার পর ছবিগুলি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার আগেই তা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যে ছবিগুলি ভাইরাল হয়েছে তাতে দুই মহিলা ও এক পুরুষ, তিনজনই পুরোপুরি নগ্ন হয়ে ছবি তুলেছেন। কিন্তু তারা চেহারা ঢেকে রেখেছেন। চট করে বোঝা যাচ্ছে না তারা কারা। এই ছবিগুলি ইন্দোনেশিয়া তাগেরঙয়ে কোজা ক্লিফ পার্কে তোলা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ এই নগ্ন মডেল এবং পুরুষ ব্যক্তিকে খুঁজে বেড়াচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ

Advertisement

ইন্দোনেশিয়ার ওই এলাকার পুলিশ আধিকারিক নূরাখেমন জানিয়েছেন, পার্ক এর নগ্ন ছবি তোলা নিষিদ্ধ। ওই মহিলাদের খোঁজ করা হচ্ছে। আমরা ওই ছবি নিয়ে এখনও নিশ্চিত নই যেই ছবিগুলি কোথায় তোলা হয়েছে। তবু বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশ দুই প্রত্যক্ষদর্শী কে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করেছে।

পর্যটনকেন্দ্র প্রচারের কৌশল !

ইন্দোনেশিয়ার এই ঘোটালা আসলে তাদের পর্যটনের প্রচার কৌশল বলে অনেকে মনে করছেন। তারা মনে করছে যে, এই ছবি প্রচার করে পর্যটন কেন্দ্রের দিকে মানুষকে, বিশ্ববাসীকে আকর্ষণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও যতক্ষণ পর্যন্ত না ওই তিনজনকে পাওয়া যাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত পরিষ্কার জানা যাবে না।

দোষী প্রমাণিত হলে ১২ বছর জেল

ইন্দোনেশিয়ায় অশ্লীলতার বিরুদ্ধে কড়া আইন রয়েছে। পাশাপাশি তথ্য সম্প্রচার আইনও সেখানে অত্যন্ত কড়া। দোষী প্রমাণিত হলে ওই দুই মহিলার ১২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

 

Advertisement