Belize একটি ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দ্বীপ রাষ্ট্র। এই দেশের কাছে ১.২ এর সন্ধান নির্জন দ্বীপ ছিল। এটি কিছু লোক মিলে কেনেন এবং এখন সেই লোকেরা সেখানে কি নতুন দেশ তৈরি করে ফেলেছেন বলে দাবি করেছেন। যদিও এই দেশের আন্তর্জাতিক সংগঠনের এখনও পর্যন্ত মান্যতা প্রাপ্ত হয়নি। এ কারণে এটিকে মাইক্রো নেশন (Micro Nation) বলে অভিহিত করা হচ্ছে। ক্রাউড ফান্ডের মাধ্যমে এই আইল্যান্ড কেনার জন্য পয়সা জোগাড় করা হয়েছে।
letsbuyanisland.com লেটস বাই এন্ড আইসল্যান্ড ডটকম-এ গিয়ে আইল্যান্ডের একটা অংশ কেনার জন্য আবেদন করা যেতে পারে এবং এর নাগরিকতা এর মধ্যে শামিল থাকতে পারে। ১৪ মার্চ ২০২০ পর্যন্ত এই আইল্যান্ডে ১০৩ জন লগ্নি করেছেন এবং নাগরিকের সংখ্যা সাড়ে তিনশোয় পৌঁছে গিয়েছে। এই দেশের অফিশিয়াল নাম প্রিন্সিপালিটি অফ আইসল্যান্ডিয়া (Prinicpaity Of Islandia) রাখা হয়েছে। এই দেশের কাছে নিজের রাষ্ট্রীয় পতাকা, রাষ্ট্রীয় স্তোত্র, সরকার এবং সিক্রেট পুলিশ রয়েছে।
এই আইল্যান্ডের আকার কফি বিনের মতো। সিএনএন-এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্শাল মেয়র এই আইল্যান্ড এর co-founder. তিনি এবং তার গ্রুপ মিলে 'কফি কে' নামে এই আইল্যান্ডের জন্য ১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা রিফান্ড জোগাড় করেন। সেখানে এর দাম ১ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা পড়েছে। এর বিক্রি ডিসেম্বর ২০১৯ এ সম্পন্ন হয় এবং এই আইল্যান্ডের একটি অংশ দাম এখন ২ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকার কাছে। ১০ শেয়ার এখনও পর্যন্ত বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।
মার্শাল মেয়র জানিয়েছেন যে আইল্যান্ড বেলিজ সিটি থেকে পনেরো মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যায়। ২০২২ এর শুরুতে বেশ কিছু লগ্নিকারী এবং টুরিস্ট এসে পৌঁছান এখানে। মেয়র জানিয়েছেন যে এই আইল্যান্ডের ওপর নামা, যেখানে আপনি নিজে লগ্নি করেছেন, দারুণ অনুভূতি। বিশেষ ব্যাপার হলো এতে মাইক্রো নেশনে ঘুরতে কয়েক মিনিট মাত্র লাগে। মেয়র প্রথমবার ১৩ জন নিয়ে আইল্যান্ডে ঘুরতে এসেছিলেন। তাঁরা এখানে ক্যাম্পিংও করেন।
১৫ বছর আগেই আইডিয়া আসে
এই আইল্যান্ড কেনার জন্য ক্রাউডফান্ডিং এর আইডিয়াটি ১৫ বছর আগে আসে। তখন গ্যারেথ জনসন এই গ্রুপের কো-ফাউন্ডার এবং সিইও letsbuyisland.com ডোমেইন কিনে ফেলেন। যদিও এই বার মেয়রের সঙ্গে টুরে গ্যারেথ সামিল ছিলেন না এবং পায়োনিয়ার টুরসের co-founder তার এই কোম্পানি মানুষকে নর্থ কোরিয়া, এবং সিরিয়া ঘোরাতে নিয়ে যায়। এছাড়া এই কোম্পানি এমন দেশ ঘুরতে নিয়ে যায় যেখানে নিজেরা স্বাধীনভাবে ঘুরতে পারেন। এর মধ্যে ট্রান্সনিস্ত্রিয়া, আফগাজিয়া এবং নাগোর্নো-কারাবাখ শামিল রয়েছে। যদিও এই সব দেশের নাম পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের লোক শোনেনি।
কী এর বিশেষত্ব?
এটিতে লগ্নি করতে হোক বা ঘুরতে, এখানে পৌঁছতে কিন্তু পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হবে। এছাড়া লর্ড অথবা লেডি অফ দ্য ল্যান্ড উপাধিও খুব কম খরচে আপনি কিনতে পারেন। যদিও এর জন্য আলাদা করে জমিতে লগ্নি করার দরকার নেই। শুধুমাত্র ফিস ভরলেই হবে।