'বাদাম, বাদাম, দাদা, কাঁচা বাদাম। আমার কাছে নেইকো বুবু ভাজা বাদাম' ২০২১ সালে সোশ্যাল মিডিয়া ছয়লাপ হয়েছিল এই গানের এন্ট্রিতে। রাতারাতি ভাইরাল হওয়া এই গান সকলের মুখে মুখে শোনা যেত। হয়েছে শত শত রিলস, মিম। ইনস্টা, ফেসবুক, ইউটিউব খুললেই নজরে আসত কাঁচা বাদাম গানের ভিডিও। আর এই গানের কারণেই জীবন বদলে গিয়েছিল বাংলার প্রান্তিক গ্রামের বাসিন্দা ভুবন বাদ্যকরের। ইন্টারনেট সেনসেশন হয়ে উঠেছিলেন তিনি। অকল্পনীয় খ্যাতি পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই খ্যাতি, পরিচিতি ছিল ক্ষণিকের। বর্তমানে কোথায় হারিয়ে গেলেন তিনি? আদৌ কি নিজের ভাইরাল গানের যোগ্য মূল্য পাচ্ছেন সেই বাদাম কাকু?
এখন কোথায় কাঁচা বাদাম গায়ক?
বছর চারেক আগে লোকের মুখে মুখে ঘুরত ভুবন বাদ্যকরের নাম। কাঁচা বাদাম গানের একাধিক রিমিক্স ভার্সনও বেরিয়ে গিয়েছিল। অভিষেক কুমার এবং উর্ফি যাদবরের মতো টেলি তারকারা সেই গানের মিউজিক ভিডিওতে নেচেওছেন। যারা এই গানের জেরে পরিচিতি পেয়ে এখন রুপোলি পর্দায় পা রাখতে চলেছেন। ফলে দর্শকদের মনে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এই গানের অরিজিনাল সুরকার ভুবন বাদ্যকর বর্তমানে কোথায়? কতটা বদলেছে তাঁর জীবন?
সম্প্রতি ইউটিউবার নিশু তিওয়ারি কাঁচা বাদাম গায়ক ভুবন বাদ্যকরের গ্রামে গিয়েছিলেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে। নিজের বাড়ি ঘুরিয়ে ইউটিউবারকে দেখান ভুবন। ছোট ঝুপড়িতে থাকা সেই কাঁচা বাদাম বিক্রেতা ভুবন এখন পাকা বাড়ির মালিক। তবে এখন আর বাদাম বেচেন না ভুবন বাদ্যকর। এখন তিনি গানকেই পেশা করে নিয়েছেন।
কীভাবে তৈরি হয়েছিল কাঁচা বাদাম গানটি? সে গল্প ইউটিউবারকে শোনালেন ভুবন বাদ্যকর। একদিন বাদাম বিক্রি করার সময়ে তিনি এই গান গাইছিলেন। এক ব্যক্তি সেটি রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। আচমকাই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।
ভাইরাল গান থেকে কত রোজগার করেছেন?
মুম্বই গিয়েছিলেন ভুবন বাদ্যকর। সে সময়ে পেয়েছিলেন ৬০-৭০ হাজার টাকা। সরকারের পক্ষ থেকেও আর্থিক সাহায্য পেয়েছেন। তবে এই গানের থেকে কোনও রয়্যালটি তিনি পাননি। অনেকে তাঁকে বড় বড় স্বপ্ন দেখিয়ে, গান রেকর্ড করিয়ে কনট্র্যাক্টও সাইন করান। ফলে তাঁর হাত থেকে কাঁচা বাদাম গানটির কপিরাইট চলে গিয়েছে। ফলে ইউটিউবে এই গানের ৫০০ মিলিয়ন ভিউস সত্ত্বেও সেটির আর্থিক ফায়দা পাচ্ছেন না ভুবন বাদ্যকর।